কি বললেন পার্থ!
বিধানসভা নির্বাচনে খোদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু ৫০ হাজারেও বেশি ভোটে হেরে যেতে হয়। যদিও এরপর থেকে আর বিজেপিমুখী সেভাবে হতে দেখা যায়নি অভিনেত্রীকে। হঠাত করেই বৃহস্পতিবার দল ছাড়ার ঘোষনা। আর এরপর থেকেই শ্রাবন্তীর তৃণমূল যোগ নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। আর সেই জল্পনা কার্যত জিইয়ে রাখলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বলেন, যদি উনি চান তাহলে অবশ্যই ভেবে দেখবে দল। অর্থাৎ শ্রাবন্তীর জন্যে যে তৃণমূলের রাস্তা খোলা রয়েছে তা স্পষ্ট ইঙ্গিত দিলেন পার্থ।
মমতার আমন্ত্রণ!
শোনা যায় বিজয়া সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয় বিজেপি নেত্রী শ্রাবন্তীকে। কিন্তু বিজেপিতে থাকাকালীন ওই সভাতে নাকি যেতে চাননি খোদ অভিনেত্রীই। কারণ বিজেপিতে থাকাকালীন সেখানে গেলে ফের বিতর্ক তৈরি হতে পারে। কারণ ভোটের সময়ে একটা অনুষ্ঠানে মদন মিত্রের সঙ্গে নেচে বিতর্কের মধ্যে পড়ে যান তিনি। আর সেই ঘটনার পুনঃরাবৃত্তি চাননি তিনি। আর সেই কারনেই সমস্ত অনুষ্ঠান এড়িয়ে যান শ্রাবন্তী। আর এরপরেই বিজেপি ছাড়ার সিদ্ধান্ত বলে খবর।
কল্যানের কটাক্ষ!
তবে শ্রাবন্তীকে নিয়ে দুই মত তৃণমূলে। একদিকে দল ভেবে দেখার কথা পার্থবাবু বললেও ম্যানহোলের সঙ্গে অভিনেত্রীকে কার্যত তুলনা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শ্রাবন্তীর দলত্যাগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "গঙ্গা বয়। গঙ্গার পাশে অনেক শহর থাকে। সেই শহরের ময়লা জমে ম্যানহোলে। ম্যানহোল খুলে দিলে সেই ময়লা গঙ্গায় মিশতে চাইবে। গঙ্গার জলে ভাসবে। এর থেকে বেশি কী হবে!"
বোমা ফাটালেন দিলীপ
শ্রাবন্তীর দল ছাড়া প্রসঙ্গে কার্যত পাল্টা দিয়েছেন দিলীপ ঘোষও। তিনি বলেন, দলের অনেক পুরোনো যারা আছেন তাদের মধ্যে ক্ষোভ আছে। কারণ শ্রাবন্তীর মতো তারকারা ভোটের আগে দলে আসেন আর টিকিট পেয়ে যান। কিন্তু ওরা সারাবছর খেটেও কিছু পান না বলে মত দিলীপের। তারকা বলেই গুরুত্ব দেওয়া হয় বলেও তোপ বিজেপি নেতার। তবে দিলীপের মতে, রাজনীতিতে অনেক কিছু করতে হয়, কখনও সফল হয়, কখনও হয় না। তবে এদিন নাম না করে দিলীপ বলেন, এদের অনেককেই তৃণমূল নেতাদের বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানে দেখা যায়। এদের কত দিন রাস্তায় দেখা যায়! এদের কখনও রাস্তায় দেখেছেন? কার্যকর্তারা রাস্তায় মার খাচ্ছেন... এটা হচ্ছে রাজনীতি। কেউ ভাবে বাড়ি বসে থাকব, মালা চড়াবে এটা হয় না।