জোটের কোনও প্রস্তাব আসেনি মোর্চার পক্ষ থেকে
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে আইএসএফকে নিয়ে বাম-কংগ্রেস সংযুক্ত মোর্চা গঠন করেছিল। তারপর আইএসএফকে সামনে রেখে নির্বাচন ফায়দা তুলতে ঘূঁটি সাজিয়েছিল সংযুক্ত মোর্চা। কিন্তু পুরসভা ভোটের আগে বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে বাংলার নির্বাচনে। আইএসএফ জানিয়ে দিয়েছে, এখনও পর্যন্ত জোটের কোনও প্রস্তাব আসেনি মোর্চার পক্ষ থেকে।
প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শুরু করে দিতে চাইছে আইএসএফ
এদিকে ভোটের সময় এগিয়ে আসছে। তাই নির্বাচনী প্রস্ততি শুরু করে দিল আইএসএফ। নেতৃত্বের উপর চাপ বাড়তেই আইএসএফ জানিয়ে দিল তাঁরা পুরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। তাই আর সময় নষ্ট করতে চাইছেন না তাঁরা। প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসেবে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শুরু করে দিতে চাইছেন আইএসএফ নেতারা।
আইএসএফের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ১৪ নভেম্বর রাজ্য কমিটির বৈঠকে
আইএসএফ জানিয়েছে, আমরা জোটের জন্য পথ চেয়ে বসেছিলাম এতদিন। আর কতদিনই বা অপেক্ষা করা যায়। নির্বাচনে লড়ার জন্য প্রস্তুতি তো নিতে হবে। তাই তারা শেষপর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জোট করে হোক বা এককভাবে তারা কলকাতা ও হাওড়া পুরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তাঁরা ১৪ নভেম্বর রাজ্য কমিটির বৈঠকে নেবে।
১৫ নভেম্বর রাজ্য বামফ্রন্টের বৈঠকে নজর আইএসএফের
এখানে উল্লেখ্য, পুরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৫ নভেম্বর রাজ্য বামফ্রন্টের বৈঠক রয়েছে। সেই দিকেও নজর রাখা হবে। তবে আইএসএফ আর গুরুত্বহীন হয়ে থাকবে না। প্রয়োজনে তারা এককভাবেই লড়বে। বিধানসভায় বাম ও কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁরা এক মঞ্চে এসেছিল। সংযুক্ত মোর্চা হিসেবে বাম, কংগ্রেস ও আইএসএফ লড়াই করেছিল।
পুরসভা নির্বাচনে জোটের ভবিষ্যৎ কী, অপেক্ষায় আইএসএফ
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস শূন্য হয়ে গেলেও ভাঙড় বিধানসভা নির্বাচনে মোর্চার একমাত্র প্রার্থী হিসেবে নৌশাদ সিদ্দিকি জয়লাভ করেছিল। বিধানসভায় প্রতিনিধিত্ব করার সময় নৌশাদ সিদ্দিকিও নিজেকে আইএসএফের থেকে সংযুক্ত মোর্চার প্রতিনিধি বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন। কিন্তু নির্বাচনে ভরাডুবির জন্য বাম ও কংগ্রেস আইএসেফকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করায়। এখন দেখার আসন্ন পুরসভা নির্বাচনের আগে মোর্চার ভবিষ্যৎ কোনদিকে বাঁক নেয়। ১৪ ও ১৫ নভেম্বর আইএসএফ ও বামফ্রন্টের বৈঠকের পরই স্পষ্ট হয়ে যাবে পুরসভা নির্বাচনে জোটের ভবিষ্যৎ।