সিতাইয়ে বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু
কোচবিহারের বাংলাদেশ লাগোয়া এলাকা সিতাইয়ে সাত সকালে ধুন্ধুমার। গরু পাচারকে কেন্দ্র করে প্রথমে ২ বাংলাদেশি ও ১ ভারতীয়র মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। সিতাইয়ের সাতভাণ্ডারীতে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। তবে বিএসএফ দাবি মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। সিতাইয়ের বাসিন্দার দাবি করেছেন, রাত ১ টা নাগাদ বাংলাদেশের থেকে আসা দুষ্কৃতীরা বিএসএফের উপর হামলা চালায়। সেসময় গরু পাচার চলছিল। হঠাৎ চিৎকার শুনে এপারের লোকেরা এগিয়ে আসেন। বিএসএফকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। তারপরেই গুলি শব্দ শোনা যায়।
তীব্র সমালোচনা উদয়ন গুহর
সিতাইয়ের এই ঘটনায় তীব্র সমালোচনা করেছেন উদয়ন গুহ। দিনহাটার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক বলেছেন বিএসএফের মদতেই চলে গরু পাচার। দিনহাটায় সাংবাদিক বৈঠক করে এই ঘটনার সরাসরি বিএসএফকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন,ভারতীয় সীমান্তের ১৫০ গজ ভিতরে কাঁটা তারের বেড়া। ভারত তার নিজের জায়গা ছেড়ে কাঁটা তারের বেড়া দিচ্ছে। যত জুলুম ভারতীয়দের ওপর। বিএসএফের কী জুলুম আমরা জানি। আমরা যারা সীমান্ত এলাকায় ঘোরাঘুরি করি, আমরা জানি। আমাদের পর্যন্তও ছাড়ে না ওরা। গাড়ি আটকে নানা প্রশ্ন করে বিব্রত করে। সাধারণ মানুষও ওপরেও ওদের অত্যাচার বাড়বে।' সিতাইয়ের ঘটনা নিয়ে অমিত শাহের মন্ত্রকের জবাব দিহি দাবি করেছেন তিনি।
রিপোর্ট তলব বিএসএফের
সিতাইয়ের ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছে বিএসএফও। কোচবিহার সীমান্ত গুয়াহাটি ফ্রন্টিয়ারের আওতায় রয়েছে। গুয়াহাটি ফ্রন্টিয়ারের পক্ষ থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। কী ঘটনা ঘটেছিল? কতজন জড়ো হয়েছিল? গুলি চালানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল কিনা? এই রকম ৬টি বিষয়ে জানতে চেয়ে রিপোর্ট েচয়েছেন গুয়াহাটির আইজি। গুলি চালানোর কারণ জানিয়ে যত দ্রুত সম্ভব রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
৪ জনের মৃত্যু
বিএসএফের গুলিতে প্রথমে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পরে জানা যায় ৪ জন মারা গিয়েছে। কিন্তু সেটা সরকারি হিসেব নয়। যদিও বিএসএফের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গরু পাচারকারীদের ধরতেই তারা গুলি চালিয়েছিল বলে দাবি। তবে কোচবিহার সীমান্তে বিএসএফ এখনওএই নিয়ে বিবৃতি দেয়নি। পুলিশও ঘটনার তদন্ত করবে বলে জানানো হয়েছে।