পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যু ঘিরে ক্রমশ তৈরি হচ্ছে রহস্য! উত্তরপ্রদেশের কাশগঞ্জে পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন এক যুবকের মৃত্যু হয়। লকআপের মধ্যেই গলায় ফাঁস দিয়েই আত্মহত্যা করে বছর ২২-এর আলতাফ নামে ওই যুবক। পুলিশের দাবি। ওই যুবক আত্মহত্যা করেছে।
যদিও পুলিশের এহেন দাবিকে উড়িয়ে দেয় আলতাফের পরিবার। তাঁদের পাল্টা দাবি, পুলিশের মারেই মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। তবে মৃত ওই যুবকের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, গলায় ফাঁস লাগানোর ফলেই হয়েছে।
ইতিমধ্যে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় পাঁচ পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কাজে গাফিলতি এই অভিযোগে তাঁদের বরখাস্ত করা হয়েছে।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে যোগী সরকারের দিকে আঙুল বিরোধীদের। শুধু তাই নয়, যোগী রাজ্যে কোনও সুশাসন নেই বলেও তোপ বিরোধীদের।
এক মহিলাকে অপহরণের অভিযোগ রয়েছে আলতাফের বিরুদ্ধে। আর সেই অভিযোগেই গত কয়েকদিন গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। আলতাফের বাবার দাবি, মিথ্যা মামলাতে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, বাবার দাবি, ২৪ ঘন্টার মধ্যেই তাঁকে জানানো হয় যে গলায় ফাঁস দিয়ে ছেলে আত্মহত্যা করেছে।
জানা যায়, পুলিশ লক আপে থাকাকালীন বাথরুমে জ্যাকেট গলাতে জড়িয়ে আত্মহত্যা করে। দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পর কোনও শব্দ না পাওয়াতে পুলিশের বাথরুমের দরজা ভাঙা হয়। আর তাতে দেখা যায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে ওই ব্যক্তি। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি।
পুলিশের বিরুদ্ধে আলতাফকে মারধরের অভিযোগ পরিবারের। মারধর থেকেই বাঁচতেই আত্মহত্যা বলে দাবি পরিবারের। যদিও ময়নাতদন্ত বলছে আলতাবের মৃত্যু হয়েছে গলাতে ফাঁস লাগিয়েই। যদিও উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উত্তর প্রদেশের পুলিশ আইনশৃঙ্খলা প্রশান্ত কুমার জানিয়েছেন, বিচার বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের যা উঠে আসবে সেই মতো কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস পুলিশ আধিকারিককের।
অন্যদিকে যোগীকে আক্রমণ শানিয়ে বিরোধিদের তোপ, আবার একটা মৃত্যু। তাও পুলিশ কাস্টাডিতেই। বিজেপি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা কোন পথে এগোচ্ছে? তা নিয়েও প্রশ্ন বিরোধীদের। এই ঘটনায় আসল সত্য প্রকাশের দাবি কংগ্রেসের। না হলে বৃহৎ আন্দোলনের হহুঁশিয়ারি। সামনেই উত্তর প্রদেশ নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনের আগে এই ঘটনায় চূড়ান্ত অস্বস্তিতে যোগী প্রশাসন।
যদিও এখনও এই বিষয়ে এখনও যোগীর তরফে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি।