হিংসার অভিযোগ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন
২৫ নভেম্বর ত্রিপুরায় পুরভোট। সেই নির্বাচনে ইতিমধ্যেই মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে বিজেপি ৩৪ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। পাশাপাশি ১৬ জন প্রার্থী তাঁদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। অভিযোগ, বিজেপির হুমকির জেরেই এই মনোনয়ন প্রত্যাহার। ৩৩৪ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল প্রার্থী দিয়েছে ১২৫ টি আসনে। শতাংশের নিরিখে যা ৩৮ শতাংশের কম। তৃণমূলের অভিযোগ বিজেপির বাধার জেরেই প্রার্থী দেওয়া যায়নি। তৃণমূলের তরফে রাজ্যসভার সদস্য সুস্মিতা দেব সুপ্রিম কোর্টে করা আবেদনে বলেছিলেন, সেখানে হিংসা চালানো হচ্ছে। পুর নির্বাচনে তৃণমূলকে সুরক্ষা দেওয়ার আবেদন করেছিলেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ
এদিন সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি বিক্রম নাথের বেঞ্চে এনিয়ে শুনানি হয়। পরে বেঞ্চের তরফে বলা হয়, তারা আশা করছেন, ত্রিপুরার সরকার এব্যাপারে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেবেন। ডিজিপি অন্য আইনপ্রণয়নকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মিলে এব্যাপারে কাজ করবেন। বেঞ্চের তরফে আরও বলা হয়েছে, নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে যাঁরা রয়েছে, তাঁদেরকে দেখতে হবে, যাতে কোনও রাজনৈতিক দল শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক প্রচারে যেন বাধা না পায়।
নির্দেশে বলা হয়েছে, আবেদনে করা অভিযোগের ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে যেন পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কোনও ব্যক্তি বিশেষের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পুলিশ সুপারকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দিতে হবে হলফ নামা
এছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে ত্রিপুরার স্বরাষ্ট্রসচিবকে হলফনামা দিয়ে বলতে হবে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকার প্রেক্ষিতে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রসচিবের পাশাপাশি ত্রিপুরার ডিজিপিকে এব্যাপারে যুগ্ম রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। দু সপ্তাহ বাদে এই মামলার ফের শুনানির কথা জানানো হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানাল তৃণমূলে
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের এদিনের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেত্রী সুস্মিতা দেব বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টে ফের আবেদনের ক্ষেত্রে রাস্তা খোলা রেখেছে। সরকার কোনওভাবে নির্দেশ না মানলে ফের আদালতকে জানানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। এদিন আবেদনকারীর পক্ষে সওয়াল করেছেন বর্ষীয়ান আইনজীবী গোপাল শঙ্করনারায়ণ। ত্রিপুরা সরকারের তরফে এদিন কেউ আদালতে ছিলেন না।
এদিন শুনানির শুরুতেই বেঞ্চের তরফে জিজ্ঞাসা করা হয়, কেন হাইকোর্টে এব্যাপারে জানানো হয়নি। সেই সময় আবেদনকারীর আইনজীবী বলেন, হাইকোর্টে বিষয়টি তালিবদ্ধ হয়েছিল। কিন্তু তারপর শুনানি আগামী সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে গিয়েছে।