বাংলায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় কুমার ভাল্লা। আগামীকাল শুক্রবার রাজ্যে আসছেন তিনি। জরুরি বৈঠকে অংশ নিতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবের এই সফর। জানা গিয়েছে, জরুরি এই বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী, সরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকা এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য উপস্থিত থাকবেন। শুধু তাই নয়, সীমান্তবর্তী সমস্ত জেলার জেলা শাসক সহ জেলা আধিকারিকদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। ফলে সবদিক থেকে এই বৈঠক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
সম্প্রতি বাংলা সহ একাধিক রাজ্যে বিএসএফের শক্তি বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ৫০ কিমি পর্যন্ত বিএসএফের হাতে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডের ৫০ কিলোমিটার এলাকায় তল্লাশি চালাতে পারবে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। শুধু তাই নয়, বায়েয়াপ্ত করা থেকে গ্রেফতার পর্যন্ত করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আর তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীও।
'২০১৪ সালে স্বাধীনতা পেয়েছে ভারত', কঙ্গনার মন্তব্যেকে রুষ্ট বরুণ, বললেন 'পাগল'
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজ্যের উপর জোর খাটানোর অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়। বিষয়টি নিয়ে নয়া রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। এমনকি কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতও প্রবল। আর পরিস্থিতিতেই রাজ্যে ছুটে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অমিত শাহের দূত। কলকাতায় বসে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করবেন জেলা প্রশাসন সহ নবান্নের কর্তাদের সঙ্গে। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে থাকবেন উচ্চ পদস্থ সেনা আধিকারিক, নৌসেনা আধিকারিক ও বিএসএফের উচ্চ পদস্থ কর্তারাও। ফলে বোঝাই যাচ্ছে এই সীমান্ত নিয়েই মূলত এই বৈঠক হবে। কেন বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধি, চেক পোস্ট তৈরি সহ একাধিক বিষয় উঠে আসতে পারে। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের বড় একটা সীমান্ত রয়েছে। সীমান্তের একাধিক এলাকা স্পর্শকাতর। সেখানে কাঁটাতার লাগানো নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে খবর। এছাড়াও গরু পাচারের মতো বিষয় নিয়েও রাজ্য প্রশাসন, সেনা আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব। ফলে সবদিক থেকে এই বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।