জোটের সম্ভাবনা ছিল, তিনি রাজি হলে একাধিক রাজনৈতিক দলের হাত ধরতে পারত তাঁর দল। তবে উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোটের আগে বহুজন সমাজবাদী পার্টির প্রধান মায়াবতী স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, একাই লড়বেন নির্বাচনে। ২০০৭ সালে যেভাবে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়েছিলেন। এবছরও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে বলে মনে করছেন তিনি।
মায়াবতী বলেন, 'বিএসপি কোনওরকম নির্বাচনী সমঝোতা করবে না। আমরা নিজেরাই লড়ব। সমাজের সমস্ত স্তরের মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি আমরা৷' তাঁর অভিযোগ, সমাজবাদী পার্টি এবং বিজেপি আদতে একই মুদ্রার দু'টি পিঠ। তাঁর কথায়, 'আমরা সমাজবাদী পার্টি এবং বিজেপিতে কোনও পার্থক্য দেখতে পাই না। ওরা একই মুদ্রার দু'টি পিঠ। ওরা গোটা নির্বাচনটাকেই হিন্দু-মুসলিমে ভাগ করতে চায়। আমরা নিজেদের সাফল্য নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। ঠিক যেভাবে ২০০৭ সালে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিলাম। এবারও তেমনই হতে চলেছে।'
পাশাপাশি কংগ্রেসকেও একহাত নেন মায়াবতী। তাঁর তোপ, 'এই রাজ্যের বাসিন্দারা অত সহজে কংগ্রেসের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি ভুলতে পারবেন না। সমাজবাদী পার্টির মতোই তারাও অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। যদি ওরা নিজেদের প্রতিশ্রুতির ৫০ শতাংশও পূরণ করত, তাহলে আজ দিল্লিতে ক্ষমতায় থাকত। উত্তরপ্রদেশ সহ অন্যান্য রাজ্যেও ক্ষমতা হারাতে হত না।'
মায়াবতীর এই ঘোষণার পর যেন আরও জমে উঠেছে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের লড়াই৷ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্বাচন যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা সকলেই জানেন। হামেশাই দেখা গিয়েছে, দিল্লিতে ক্ষমতার কেন্দ্রে বসে থাকতে হলে প্রথমে মন জয় করতে হয়েছে উত্তরপ্রদেশের। আগামী নির্বাচনও এর ব্যতিক্রম নয় । যদি তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতার অলিন্দে স্থান পেতে হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে,তাহলে ধরে রাখতেই হবে উত্তরপ্রদেশ। যে হিন্দুত্ববাদের জিগির তুলে এতদিন ধরে রাজনীতি করে এসেছেন মোদী৷ সেই হিন্দুত্ববাদ প্রধান রাজনীতিতে তাঁর উত্তরসূরী মনে করা হচ্ছে যোগী আদিত্যনাথকে। স্বাভাবিকভাবেই এই নির্বাচন তাঁর কাছেও লিটমাস টেস্ট বটে৷
অন্যদিকে আদা-জল খেয়ে নেমে পড়েছে বিরোধীরাও। রাহুল,প্রিয়াঙ্কা গান্ধী তো আছেনই। অখিলেশ যাদবের নেতৃত্বে সমাজবাদী পার্টিও কড়া টক্কর দিচ্ছে৷ এবার জানা গেল, একাই লড়তে চলেছে বহুজন সমাজবাদী পার্টি। এই চার দলের চতুর্মুখী লড়াইয়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটাদেশ।