ভারতের মাটিতে কোনও চিনা গ্রাম নেই। সবটাই ভুয়ো তথ্য। এমনই দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিসল অরুণাচল প্রদেশের বিতর্কিত জায়গায় আস্ত একটি গ্রাম তৈরি করে ফেলেছে বেজিং। তা নিয়ে পেন্টাগনের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্যও সংগ্রহ করেছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। ভারতের সার্বভৌমত্বে কোনও রকম হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না বলেও চরম বার্তা দেওয়া হয়েছে।
অরুণাচল প্রদেশে বিতর্কিত জমিতে চিন আস্ত একটা গ্রাম তৈরি করে ফেলেছে। এমনই দাবি করেছিল আমেরিকার প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন। তারপরেই একাধিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয় সেই খবর। মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থা পেন্টাগনের বক্তব্যকে উল্লেখ করেই এই খবর প্রকাশিত হয়েছিল বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজুর দাবি এরকম কোনও ঘটনা ঘটেনি। ভারতের জমিতে কোনও চিনা গ্রাম তৈরি হয়নিষ এক শ্রেণির সংবাদ মাধ্যম ভুয়ো তথ্য প্রকাশ করছে বলে দাবি করেছেন তিনি। দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে এই ধরনের খবর করা অপরাধ বলে আক্রমণ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
এই ধরনের ভুয়ো তথ্য খবরে প্রকাশ করে দেশবাসীকে ভুল পথে চালনা করা হয়। তাদের ভুল খবর দিয়ে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। কয়েকদিন আগেই সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল অরুণাচল প্রদেশের বিতর্কিত ভূমি সুবানসিরি জেলায় ১০০টি বাড়ি তৈরি করে একটি আস্ত গ্রাম তৈরি করে ফেলেছে বেজি। এই এলাকাটি চিন বেআইনি ভাবে দখল করে রেখেছে। প্রায় ৬ দশক আগে সেখানে জমি দখল করে রেখেছিল চিন। সেটা নিয়েই টানাপোড়েন চলছে। অরুণাচল প্রদেশকে নিজেদের দেশের অংশ বলে মনে করে বেজিং। সেকারণেই নিজেদের ম্যাপে অরুণাচল প্রদেশকে দেখিয়েছে তারা। এই নিয়ে ভারতের সঙ্গে দীর্ঘ টানাপোড়েন চলছে বেজিংয়ের।
এদিকে আবার লাদাখও অশান্ত হয়ে রয়েছে। কনকনে ঠান্ডার মধ্যে লাদাখ সীমান্তে তৎপরতা বাড়িয়েছে বেজিং। সেখানে যাতে প্রহরারত জওয়ানরা ভাল করে থাকতে পারেন সেকারণে শীত মোকাবিলা করার মত একাধিক সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে।অক্সিজেন থেরাপির জন্য অক্সিজেন চেম্বার পাঠানো হয়েছে। বিশেষ ধরনের গরম পোশাক পাঠানো হয়েছে জওয়ানদের জন্য। কনকনে ঠান্ডার মধ্যেও যাতে নিজেদের চাঙ্গা রাখতে পারে তারা সেদিকে বিশেষ ভাবে নজর দিতে শুরু করেছে বেজিং। সেদিকে নজর রাখছে ভারতও।