সে দেশে দৈনিক সংক্রমণ ৫০ হাজার ছাড়াল
করোনা অতিমারি শুরু হওয়ার পর থেকে এই প্রথমবার সে দেশে দৈনিক সংক্রমণ ৫০ হাজার ছাড়াল। গত অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি থেকে নতুন করে সংক্রমণ মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে। এই করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তকে নাটকীয় বলে অভিহিত করেছেন বিদায়ী চান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কল। চিকিৎসকদের একাংশ বলছে, কোভিড বিধি না মানার ফলেই দেশে হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ। যদিও এই বিষয়ে এখনই সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
একাধিক পদক্ষেপ করছে প্রশাসন।
ইতিমধ্যে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে একাধিক পদক্ষেপ করছে প্রশাসন। হাসপাতালেও বাড়ছে রোগীর চাপ। অন্যদিকে শুরু করোনা বিধি অমান্য করার জন্যে নয়, কম টিকাকরণের কারণেই জার্মানির এই অবস্থা বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একটি অংশ। হিসাব বলছে, দেশের মাত্র শতাংশ নাগরিকের টিকাকরণ হয়েছে এখনও পর্যন্ত। যেখানে করোনা রুখতে দ্রুত ভ্যাকসিনেশনের কথা বলছেন চিকিৎসকরা। সেখানে দেশের মোট জনসংখ্যার কিছু মানুষকেই এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। আর সেই কারনেই এভাবে আবার নতুন করে করোনার বাড়বাড়ন্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
নতুন করে কভিড বিধি চালু করা
সংক্রমণ বাড়তেই জার্মানির একাধিক জায়গায় নতুন করে কভিড বিধি চালু করা হয়েছে। স্যাক্সোনি, ব্যাভেরিয়া, বার্লিন সহ বিভিন্ন জায়গার অবস্থা ভাল নয়। সেখানে হু হু করে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। বিশেষত টিকা পাননি এমন লোকজনের জন্য কড়া বিধি চালু করা হয়েছে এই সমস্ত অঞ্চলগুলিতে। সোমবার থেকে বার্লিনে টিকাপ্রাপ্ত নয় এমন লোকজনকে রেস্তোরাঁ, বার, স্পোর্টস হলে প্রবেশ করতে নিষেধ করা হয়েছে। করোনা অতিমারির শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত জার্মানিতে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৪.৯ মিলিয়ন।
লকডাউনের কথাও ভাবছে!
নতুন করে সে দেশে করোনার ওয়েভ শুরু হয়েছে। হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে। প্রাথমিক ভাবে করোনা বিধি লাঘু করা হলেও পরিস্থিতি এত তাড়াতাড়ি আয়ত্তে আসবে না বলেই মত চিকিৎসকদের। এমনকি গোষ্ঠী সংক্রমণের সংখ্যাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না সে দেশের আধিকারিকরা। সেদিকে তাকিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে না এলে লকডাউনের পথেও দেশ হাঁটতে পারে বলে ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে উচ্চ পর্যায়ে। শুধু জার্মানি নয়, নতুন করে বিশ্বের একাধিক দেশে পঞ্চম পর্যায়ের করোনা ওয়েভ শুরু হয়েছে। এমনকি চিনেও বাড়ছে সংক্রমণ। ফলে নতুন করে আশঙ্কার কালো মেঘ তৈরি হয়েছে।