কী বলছেন অজিত দোভাল?
এনএসএ অজিত ডোভাল আশা করেছেন এই আলোচনা ফলপ্রসূ হবে, এদিন তিনি বলেন, এটি আমাদের সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের সময়, আমি নিশ্চিত যে আমাদের আলোচনা ফলপ্রসূ হবে৷ আফগানিস্তানের জনগণকে সাহায্য করতে এবং আমাদের সম্মিলিত নিরাপত্তা বাড়াতে অবদান রাখবে এই আলোচনা।
বৈঠকে কী বলছেন তুর্কমেনিস্তানের প্রতিনিধি?
সূত্রের খবর দিল্লির বৈঠকে তুর্কমেনিস্তানের প্রতিনিধি আফগানিস্তানে মাদক পাচার ও মানবিক সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন৷ আফগানিস্তান নিয়ে দিল্লির বৈঠকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে বক্তব্যে রাখতে গিয়ে তুর্কমেনিস্তানের স্টেট সিকিউরিটি কাউন্সিল সেক্রেটারি চ্যারিমিরাত কাকালিয়েভিচ আমাভভ আফগানিস্তানে মাদক পাচার এবং মানবিক সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
কী বলছেন তাজিকিস্তানের প্রতিনিধি?
এদিন দিল্লির বৈঠকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত বক্তব্যে তাজিকিস্তানের নিরাপত্তা পরিষদের সেক্রেটারি নাসরুল্লো রহমতজন মাহমুদজোদা বলেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমরা আফগানিস্তানের জনগণকে সাহায্য করতে প্রস্তুত। আফগানিস্তানের জনগণের উপকার হয় এরকম যে কোনও কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে প্রস্তুত আমরা৷
কী বলছেন কাজাখস্তানের প্রতিনিধি?
তালিবানের হাতে ক্ষমতা যাওয়ার পর আফগানদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে বলে মনে করে কাজাখস্তান!
দিল্লিতে আফগানিস্তান ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা বৈঠকে তার সূচনা ভাষণে, কাজাখস্তান জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির চেয়ারম্যান করিম মাসিমভ বলেন, আমরা আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। আফগানদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে এবং দেশটি মানবিক সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে। সবাইকে ওদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে হবে, মানবিক সহায়তা বাড়াতে হবে।
কারা কারা রয়েছেন বৈঠকে?
জানা গিয়েছে তাজাকিস্তান, কির্গিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, কাজাকিস্তান, উজবেকিস্তান, রাশিয়া, ইরান নয়াদিল্লির এই বৈঠকে উপস্থিত রয়েছে। প্রতিটি দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সেই দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন। ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন অজিত ডোভাল। এর আগে কথা ছিল, পাকিস্তান এবং চিন বৈঠকে উপস্থিত থাকবে৷ তবে ইসলামাবাদ জানিয়ে দিয়েছে যে বৈঠকে তাঁরা উপস্থিত থাকতে পারবে না৷ 'সময়সূচীর সমস্যা'র জন্য অনুপস্থিত রয়েছে চিনও।
আফগান সমস্যায় কিংপিন ভারতই!
এর আগে ইরান আফগানিস্তান ইস্যুতে এই ধরনের বৈঠকের আয়োজন করেছিল ঠিকই। তবে, এই প্রথম আটটি দেশ নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছে ভারত। এর আগে বহু বৈঠকে দিল্লি উপস্থিত থাকলেও এবারই প্রথম আয়োজকের ভুমিকায় রয়েছে তারা। বিশ্ব রাজনীতি তথা কূটনীতি নিয়ে ওয়াকিবহাল মহলের মতে আফগানিস্তান সমস্যায় 'কিংপিন' ভারতই। তালিবানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ঠিক কেমন, তার ওপর নির্ভর করছে গোটা এশিয়ার রাজনীতি৷ যেখানে চিন এবং পাকিস্তান বহুদিন ধরেই জঙ্গিগোষ্ঠীটিকে মদত দিচ্ছে, সেখানে ভারতের গুরুত্ব আরও বেড়ে যাচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আফগানিস্তান নিয়ে ভারতের গুরুত্ব বাড়ছে!
বুধবার নয়াদিল্লিতে উপস্থিত সমস্ত দেশও ভারতের গুরুত্ব ভালোভাবেই বোঝে। আর ঠিক এই কারণেই বৈঠকে অংশগ্রহণ করছে তারা৷ সূত্রের খবর, যদি বৈঠকে একে অপরের সঙ্গে সুর মেলে তাহলে তালিবান সমস্যায় একজোট হয়ে কাজ করতে পারবে প্রত্যেকটি দেশ। ভবিষ্যতের নীতি নির্ধারণ করতেও সুবিধা হবে প্রত্যেকটি দেশের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উচ্চ আধিকারিকের কথায়, ' ভবিষ্যতে আফগানিস্তানের অবস্থা কী হতে চলেছে, আমরা জানি না। প্রত্যেকটি দেশের উদ্বেগের কারণএকইরকম।'