রাফাল দুর্নীতি মামলার তদন্ত নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আনল এক ফরাসী পোর্টাল। তাতে দাবি করা হয়েছে ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থা দাসোঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই করেনি। সবজেনেও নাকি ইচ্ছে করেই দাঁসোর বিরুদ্ধে কোনও রকম তদন্ত করা হয়নি। তার অন্যতকম কারণ কংগ্রেস-বিজেপি উভয় সরকারই এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করা হয়েছে।
গত পরশু থেকে রাফাল জেট দুর্নীতি মামলা নিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি। দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্র কংগ্রেসকে নিশানা করে বলেছিলেন কংগ্রেসের নাম বদলে ফেলা উচিত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ইউপিএ সরকারের আমলে রাফাল বিমান কেনার বরাদ দেওয়া হয়েছিল। তাতেই ফরাসি কোম্বানি দাসোঁর সঙ্গে চুক্তিকে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তারপরেই ফরাসী পোর্টালের এই খবরে চাঞ্চল্য ফেলে দিয়েছে গোটা দেশে। আবারও কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বিজেপি।
ফরাসি পোর্টাল মিডিয়া পার্টে দাবি করা হয়েছে ২০০২ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে মিডিলম্যান সুসেন গপ্তাকে ১১০ কোটি টাকা দিয়েছিল দাঁসো। ভারতে এই রাফালে বিমান বিক্রি সুনিশ্চিত করতেই ফরাসি বিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা সুসেন গুপ্তাকে েই মোটা টাকা দিয়েছিল। কিন্তু ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থা এর প্রমাণ পেয়েও তদন্ত করেনি বলে দাবি করা হয়েছে পোর্টালের পক্ষ থেকে।
ফরাসী পোর্টালের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে ২০১৯ সালেও একাধিক প্রমাণ পেয়েও ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থা কোনও পদক্ষেপ করেনি। এমন কিছু প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল যাতে দাসোঁকে ব্ল্যাকলিস্টেড পর্যন্ত করা হতে পারে। সুসেন গুপ্তাকে দেওয়া একাধিক টাকার কাগজপত্রও হাতে এসেছিল ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। অগস্টা ওয়েস্টল্ান্ড হেলিকপ্টার বিক্রি নিয়ে ভারতের একাধিক প্রথম সারির রাজনৈতিক নেতা দুর্নীতিতে যুক্ত ছিল এমন প্রমাণও নাকি সিবিআইয়ের হাতে ছিল।
চিন-পাক ছাড়া আফগানিস্তান নিয়ে দিল্লিতে আট দেশের বৈঠক শুরু, চালকের আসনে ভারত
সেই সব প্রমাণ চার্জশিট থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছিল তদন্তকারী সংস্থা ধীরজ গুপ্তার আইটি সার্ভিস কোম্পানি আইডিএস দাঁসোর সঙ্গে সুসেন গুপ্তার আর্থিক লেনদেনের সুবিধা করে দিয়েছিল। অটল বিহারী বাজপেয়ীর সময় এই আর্থিক লেনদেন শুরু হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। ২০০৪ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন তিনি। তারপরেই ক্ষমতায় এসেছিল ইউপিএ সরকার। অর্থাৎ এই দুর্নীতি কাণ্ডে দুই সরকারই জড়িত ছিল। সেকারণেই তদন্ত অতিসক্রিয়তা দেখায়নি সিবিআই। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়েছে সেই ফরাসী পোর্টালে। অর্থাৎ কোনও একক রাজনৈতিক দল নয় বিজেপি এবং কংগ্রেস উভয় জড়িত রয়েছে এই দুর্নীতি মামলায় এমনই দাবি করা হয়েছে।