নন্দীগ্রামের শহিদ দিবসে শুভেন্দুকে নিশানা কুণালের
দু-দিন আগে নন্দীগ্রামের মাটিতে সভা করে সৌমেন মহাপাত্র বলে গিয়েছিলেন, এবার শুভেন্দুর ঘরওয়াপসির পালা। লালবাতি নিভলেই শুভেন্দু ফিরবেন তৃণমূলে। হাইকোর্টের রায় বেরোলেই বিধানসভার বিরোধী দলনেতার চেয়ার হারাবেন শুভেন্দু। তখন তৃণমূলে ফেরা ছাড়া তাঁর আর কোনও উপায় থাকবে না। সৌমেন মহাপাত্রের পর নন্দীগ্রামের শহিদ দিবসে ফের সেই প্রসঙ্গে উত্থাপন করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
পুনর্গণনায় কত ভোটে জিতবেন মমতা, জানালেন কুণাল
কুণাল ঘোষ নন্দীগ্রামে শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠানে এসে বলেন, নন্দীগ্রামে শীঘ্রই উপনির্বাচন হবে। তারপর নন্দীগ্রাম থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে আমরা ঘাড় ধরে তাড়াব। বিজেপি পরিকল্পনা করে হাইকোর্টের মামলা বানচাল করার চেষ্টা করছে। সেই অভিষন্ধি পূরণ হতে দেব না আমরা। হাইকোর্ট রায় দিলই পুনর্গণনা হবে। আর পুনর্গণনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২২ হাজার ভোটে জিতবেন।
শুভেন্দুকে বিজয়ী ঘোষণার নেপথ্যে কী ঘটেছিল
কুণালের বক্তব্যের নিশানায় ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি কারচুপি করে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছেন। তা নিয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেতার খবর প্রকাশিত হওয়ার পর দীর্ঘক্ষণ সার্ভার চলে যাওয়া, তারপর শুভেন্দু অধিকারীকে বিজয়ী ঘোষণার নেপথ্যে কী ঘটেছিল, তা অপ্রকাশিত।
শুভেন্দুকে চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ কুণালের
এদিন নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু কারচুপি করে জিতেছেন বলে অভিযোগ করেও ক্ষান্ত হননি কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, শুভেন্দু একজন অকৃতজ্ঞ, বেইমান। নন্দীগ্রামে দিনের পর দিন তিনি বিষ ছড়িয়েছেন। মানুষকে ভাগ করেছেন তিনি। তাঁকে গদ্দার, মীরজাফর ও বিভীষণ বলে আখ্যায়িত করেছেন। শুভেন্দুকে চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেছেন কুণাল।
নন্দীগ্রামের মানুষই জবাব দেবেন শুভেন্দুকে
এরপর কুণাল ঘোষ বলেন, শুভেন্দুকে রাজনীতিতে জন্ম দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠা দিয়েছেন। তাঁর পুরো পরিবারকে রাজনৈতিক মঞ্চে পরিচিতি দিয়েছেন। অথচ সেই শুভেন্দু অধিকারীই বাংলার রাজনীতিতে গদ্দারি করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। এর জবাব পাবেন শুভেন্দু। নন্দীগ্রামের মানুষই তাঁকে জবাব দেবেন।
শহিদের রক্তে নিজের কেরিয়ার তৈরি করেছেন শুভেন্দু
কুণাল ঘোষ নন্দীগ্রামবাসীর উদ্দেশে বলেন, আপনারা লড়াই করলেন, আপনারা আন্দেলন করলেন, শহিদ হলেন আপনাদের পরিবার-পরিজন। অথচ আপনাদের পরিবারের শহিদের রক্ত বিক্তি করে নিজের রাজনৈতিক কেরিয়ার তৈরি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। আপনারা একবার ভুল করেছেন, দ্বিতীয়বার আর সেই ভুল করবেন না। এবার শুভেন্দু অধিকারীকে হারিয়ে গণতান্ত্রিকভাবে তাঁকে নন্দীগ্রাম থেকে তাড়াতে হবে।