আড়্ডারওয়ার্ল্ড যোগ
এক সাংবাদিক সম্মেলনে নবাব মালিক বলেন, ‘রিয়াজ ভাটি কে? এই রিয়াজকে ভুয়ো পাসপোর্ট চক্রে ধরা হয়েছিল এবং তার সঙ্গে দাউদ-যোগ রয়েছে। তবে তাকে দু'দিনের মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাকে দেবেন্দ্র ফড়নবীশের সঙ্গে, এমনকী বিজেপির ইভেন্টেও দেখা গিয়েছে।' নবাব মালিক আরও বলেন, ‘আমরা এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে জড়াতে চাই না। কিন্তু এই রিয়াজ ভাটি প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যায় এবং তাঁর সঙ্গে ছবিও তোলে। অন্যান্য দেশের আন্ডারওয়ার্ল্ড ডনেরা দেবেন্দ্র ফড়নবীশ কর্তৃক নিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের ডাকে এবং সমস্যার নিষ্পত্তি হয়।' দেবেন্দ্র ফড়নবীশের বিরুদ্ধে রাজনীতিতে অপরাধ নিয়ে আসার অভিযোগও তুলেছেন এনসিপি নেতা।
অপরাধীদের সঙ্গে যোগ ফড়নবীশের
নবাব মালিকের অভিযোগ, ‘নাগপুরের কুখ্যাত দুষ্কৃতী মুন্না যাদবকে দেবেন্দ্র ফড়নবীশ কর্তৃক গঠিত কনস্ট্রাকশন কর্মী বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়। হায়দার আজম নামে একজন, যে বাংলাদেশীদের অবৈধভাবে অভিবাসন করায়, তাকে মৌলানা আজাদ ফিনান্স কর্পোরেশন, যেটা ফড়নবীশের হাতে গড়া, সেখানকার চেষারম্যান করে।' নবাব মালিকের কথায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর আমলে বহু দুর্নীতির কাজ হয়েছে। এনসিপি নেতা দাবী করেছেন যে দেবেন্দ্র ফড়নবীশ ২০১৬ সালে নোট বাতিলের পর সমীর ওয়াংখেড়ের সহায়তায়, যিনি সেই সময় ডিআরআই ছিলেন, রাজ্যে জাল নোট চক্রকে সুরক্ষা দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘২০১৬ সালের, ৮ নভেম্বর, যখন দেশজুড়ে নোট বাতিলের হাওয়া চলছে, সেই সময় দেশের একাধিক জায়গা থেকে জাল নোট ধরা পড়েছিল। কিন্তু তার এক বছর পর মহারাষ্ট্রে কোনও জাল নোট চক্র ধরা পড়েনি, যদিও তা ফড়নবীশের আশীর্বাদে রাজ্যে রমরমিয়ে চলছিল। ২০১৭ সালের ৮ অক্টোবর, ডিআরআই ১৪.৫৬ কোটির জাল নোট মুম্বইয়ের বিকেসি থেকে বাজেয়াপ্ত করে। কিন্তু ফড়নবীশের হাতের তলায় বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়।'
একের পর অভিযোগ ফড়নবীশের বিরুদ্ধে
প্রসঙ্গত, এনসিবির মুম্বই জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ের তত্ত্বাবধানে মুম্বই মাদক কাণ্ড ফাঁস হয় এবং এই ঘটনায় গ্রেফতার হন শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান খান। নবাব মালিক এই মাদক কাণ্ড নিয়েও সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। তিনি জানান যে এই তল্লাশি অভিযান পুরোটাই ভুয়ো ছিল। ফননবীশের বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে মালিক বলেন, ‘এই নোটগুলি পাকিস্তান থেকে এসেছিল। তৎক্ষণাত জামিন পেয়ে যায়। এনআইএকে বিষয়টি তদন্তের জন্য দেওয়া হয়নি। দেখানো হয় যে ধৃত ব্যক্তির সঙ্গে কংগ্রেসের যোগ রয়েছে। যে ব্যক্তি গ্রেফতার হয়, সে ফড়নবীশের দ্বারা গঠিত সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান হাজি আরাফাত শেখের ভাই।'
তৃণমূলের কাছে নতুন বিড়ম্বনা পুরভোটের আগে, অনাস্থা ঠেকানোই যখন বিরাট চ্যালেঞ্জ
ফড়নবীশের অভিযোগ নবাব মালিকের বিরুদ্ধে
প্রসঙ্গত, ১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ কাণ্ডের দুই দোষীর থেকে ভুয়ো নথির মাধ্যমে খুব কম দামে নবাব মালিক ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সংস্থা কুর্লা শহরতলীতে একটি জমি কেনার অভিযোগ তোলেন দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। এরপরই বিস্ফোরণ অভিযোগ আনেন নবাব মালিক। মুম্বই মাদক কাণ্ড সামনে আসার পর থেকেই অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের পর্ব চলছে ক্রমাগত।