|
রটেছে ভুয়ো খবর
এই ঘটনায় নিশার মা ধনপতিও আহত হয়েছেন এবং তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক বলে খবর রটে, যা সবৈব মিথ্যা। এই ভুয়ো খবর কীভাবে ছড়ালো তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার নিশা দাহিয়া সার্বিয়ার বেলগ্রেডে কুস্তির ইউ-২৩ ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপের ৬৫ কেজিতে ব্রোঞ্জ মেডেল জয় করেন। দারুণ এই পারফর্মের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিশা সহ অন্যান্য মহিলা কুস্তিবিদদের প্রশংসা করেন। মোদী টুইটে বলেন, ‘অভিনন্দন শিবানী, অঞ্জু, দিব্যা, রাধিকা ও নিশাকে বেলগ্রডে কুস্তির ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে পদক জয়ের জন্য। তাঁদের পারফর্ম্যান্স বিশেষ ছিল এবং ভারতে এই কুস্তিকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে এঁদের অবদান অনস্বীকার্য।'
নিশা দাহিয়ার কেরিয়ার
নিশা দাহিয়া ২০১৪ সালে শ্রীনগরে ক্যাডেটে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন এবং পরের বছরও তিনি একই কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি করেছিলেন। ২০১৪ সালে তাঁর প্রথম আন্তর্জাতিক পদক আসে, সেই সময় তিনি এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ৪৯ কেজি বিভাগে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। পরের বছর তিনি ৬০ কেজি বিভাগে রূপোর পদক জেতেন। ২০১৫ সালে নিশা ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জেতেন। এই ব্রোঞ্জ জেতার পর মেলডোনিয়াম টেস্টে পজিটিভ ধরা পড়েন নিশা, এই মাদক ২০১৬ সালেই বিশ্ব ডোপিং-বিরোধী এজেন্সির পক্ষ থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
নিশার ওপর নিষেধাজ্ঞা
এর পরে, কুস্তিগীর চার বছরের নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হন। মেলডোনিয়াম একই ওষুধ যা টেনিস সুপারস্টার মারিয়া শারাপোভাকে সমস্যায় ফেলেছিল। ২০১৫ সালে নিশা রেলে চাকরিও পান কিন্তু ডোপিং মামলায় ফেঁসে যাওয়ার জন্য তাঁর চাকরি চলে যায়। যদিও ২০১৯ সালে নিশা ফের কামব্যাকক করেন এবং অক্টবরে স্বর্ণ পদক জয় করেন ইউ-২৩ ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে এবং ৬৫ কেজির বিভাগে জলন্ধরে সোনা জয় করেন।
নিশাকে সমর্থন সাক্ষীর
তাঁর ওপর নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন নিশা ভেবেছিলেন যে তিনি খেলা ছেড়ে দেবেন এবং তিনি লক্ষ্য করেন যে তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা তাঁর সঙ্গ ছেড়ে দিচ্ছেন। কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি। নিশার ওপর নিষেধাজ্ঞা চলার সময় রিও অলিম্পিকে ব্রোঞ্জজয়ী সাক্ষী মালিক সমর্থন করেন নিশাকে।