সম্প্রতি আইএএস অফিসার রেনু শর্মাকে মিজোরামের মুখসচিব হিসেবে নিযুক্ত করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। পয়লা নভেম্বর থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করার কথা ছিল তাঁর। তবে রেনু শর্মা মুখ্যসচিব পদে বসুন এমনটা মোটেই চান না মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী পু জোরামথাঙ্গা। এই মর্মে এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন তিনি।
১৯৮৮ সালের আইএএস অফিসার রেনু শর্মা। গত ২৮ অক্টোবর কেন্দ্রীয় সরকার তাঁকে নির্দেশ দেয় পয়লা নভেম্বর থেকে মিজোরামের মুখ্যসচিব পদে দায়িত্ব পালন করার৷ কিন্তু সেই দিনই আবার মিজোরাম সরকার নির্দেশ দেয় যে সি রামথাঙ্গাকে ওই পদে বসার। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় সমস্যায় পড়ে কেন্দ্র, রাজ্য উভয়েই। আসরে নামেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী পু জোরামথাঙ্গা। ২৯ অক্টোবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে একটি চিঠি লেখেন তিনি।
একটি সর্বভারতীয় বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমকে মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা জানান, জোরামথাঙ্গা নিজে ওই চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। চিঠিতে লেখা রয়েছে, 'গুজরাট ক্যাডারের আধিকারিক লালনুনরাউইয়া চুয়াগোর অবসরের পর আমি আমার অতিরিক্ত মুখ্যসচিব যে সি রামথাঙ্গাকে ওই পদে দায়িত্বগ্রহণের অনুরোধ করি। কিন্তু একই সময়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক শ্রীমতি রেনু নয়া মুখ্যসচিব পদে নিয়োগ করে৷ মিজোরামের বাসিন্দাদের অধিকাংশই হিন্দি বোঝে না। আমার মন্ত্রিসভার কেউই হিন্দি বোঝেন না। অনেকের আবার ইংরেজি নিয়েও সমস্যা আছে। এমতাবস্থায় যদি কোনও আধিকারিক স্থানীয় ভাষা না জানেন, তাহলে কখনোই তিনি সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।'
তিনি আরও লেখেন, 'এই কারণেই মিজোরাম রাজ্যটি তৈরি হওয়ার পর থেকে ভারত সরকার এমন কোনও আধিকারিককে পাঠায়নি যিনি স্থানীয় ভাষা জানেন না। এর আগের ইউপিএ সরকার হোক বা এনডিএ আমল, এমনটাই হয়ে আসছে। আর এটা তো জানা কথা যে, যদি কোনও আধিকারিক একটি রাজ্যের প্রথম ভাষা অল্পস্বল্প না জানেন তাহলে তাঁকে পাঠানো হয় না।'
যথারীতি এই ঘটনার পর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। মিজোরামের বিজেপি সভাপতি মুখ্যমন্ত্রীর পদক্ষেপকে অপরিণত বলে কটাক্ষ করেছেন৷ তাঁর মতে, 'হিন্দি এবং ইংরেজি ভারতের সরকারি ভাষা। আমার মনে হয় না তাই ভাষা সরকার ও মুখ্যসচিবের কাজের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হতে পারে বলে। ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে এই চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সবমিলিয়ে এটি একটি অপরিণত পদক্ষেপ।' রাজ্যের মুখ্যসচিব নিয়োগ হওয়া নিয়ে বিজেপি এমএনএফ দ্বন্দ বাড়বে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা৷