জলবায়ুর প্রভাবে অসুস্থ!
যথারীতি তড়িঘড়ি তাঁকে ভর্তি করা হয় স্থানীয় হাসপাতালে। কুটিনে লেক হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ কাইল মেরিট বলেন, একই সঙ্গে একাধিক শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন ৭০ বছরেরও বেশি বয়সী বৃদ্ধা। হাসপাতালের আপৎকালীন বিভাগের প্রধান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ' বৃদ্ধার প্রতিটি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা বেড়েছে। শরীরে জলের পরিমাণ বজায় রাখতে হিমশিম খাচ্ছে দেহ। কীভাবে তাঁর দেহ ঠাণ্ডা করা যায়, আমরা চাপে পড়ে গিয়েছিলাম। কোনওরকমে স্প্রে বোতল কিনে এনে শরীরের উষ্ণতাকে কিছুটা শান্ত করা গিয়েছে৷'
মার্কিন মুকুলে হিটওয়েভ!
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অংশ এবং কানাডায় রেকর্ড হিটওয়েভ বয়েছে৷ হিসেব বলছে এর ফলে মারা গিয়েছেন অন্তত ২৩৩। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উত্তর-পশ্চিমে উচ্চচাপ সৃষ্টির ফলে এই পরিস্থিতির জন্ম হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় চাপ এসে পড়েছে চিকিৎসকদের ওপর। হাসপাতালে ক্রমবর্ধ্বমান রোগী সংখ্যা সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে তাঁদের। অধিকাংশ রোগীই হিট স্ট্রোক এবং হিটওয়েভ দ্বারা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছিলেন।
জনসচেতনতা বাড়াতে পথে চিকিৎসকরা!
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য পথে নেমেছেন চিকিৎসকরাও। ৪০ জন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি দল তৈরি করেছেন তাঁরা। স্থির করেছেন এঁরা চিকিৎসার পাশাপাশি মানুষের কাছে পৌঁছে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলাফল নিয়ে কথা বলবেন৷
COP26 সম্মেলনে জলবায়ু সুরক্ষা নিয়ে কড়া পদক্ষেপের কথা বলেছেন মোদী
সম্প্রতি গ্লাসগোয় গোটা বিশ্বের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মঙ্গলবার যোগ দিয়েছিলেন মোদী। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, অজি প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনও উপস্থিত ছিলেন কপ-২৬ এর বৈঠকে। মঙ্গলবার মোদী জানিয়েছিলেন, জলবায়ু নিয়ে সচেতন হওয়া কোনও একটি দেশ বা সংস্থার কর্তব্য নয়। গোটা মানবজাতির কর্তব্য। এখনই জলবায়ু নিয়ে মাথা না ঘামালে সবার আগে দ্বীপরাষ্ট্রগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বেগ, গত কিছু দশকে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রত্যেকটি দেশ। গরিব হোক কিংবা উন্নয়নশীল অথবা উন্নত, কেউ ছাড় পায়নি। প্রত্যেকটি দেশেই প্রাকৃতিক সম্পদ কমতে দেখা যাচ্ছে, এটা বড়সড় সমস্যা।