কী এই 'তালিম অউর তিজরাত'?
বিশেষজ্ঞদের মতে, বরাবর সংখ্যাগুরু হিন্দু ভোট নিয়েই অঙ্ক কষে বিজেপি, মুসলিম ভোটকে একেবারেই বাদ দেয় তারা৷ তবে এবার দেখা যাচ্ছে, ভোটের অঙ্কে মুসলিমরাও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ তাদের কাছে। বিজেপির পরিকল্পনা, মুসলিম ভোট পেতে টিফিন বৈঠক করবে তারা। তালিম এবং তিজারত কর্মসূচিতে ব্যবসা সংক্রান্ত শিক্ষা দেওয়া হবে। তাছাড়া স্থানীয় নেতৃত্বকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যতটা সম্ভব সংখ্যালঘু এলাকায় যেন জনসংযোগ করা হয়৷ বাদ যাননি বিধায়ক, সাংসদরাও। তাঁদের বলা হয়েছে, তাঁরা যেন পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে দলের প্রচার করেন।
ভোটের হিসেব কী বলছে?
উত্তরপ্রদেশে মোট ১৯ শতাংশ মুসলিম ভোট রয়েছে। যে সমস্ত আসনে ২০১৭ সালে ভীষণ কম মার্জিনে হেরেছিল বিজেপি। সেই সমস্ত আসনে জয়লাভ করতে সংখ্যালঘু ভোটের দিকে চোখ রেখেছে গেরুয়া শিবির। গত সাত বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমলে যে সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। যেভাবে শিক্ষা ছড়িয়ে পড়েছে মুসলিমদের মধ্যে, তা নিয়েই প্রচার করতে চায় বিজেপি।
মুসলিম ভোট ও বিজেপি!
মুসলিমরা বিজেপিকে ভোট দিক অথবা না দিক। ২০১৭-১৮র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মুসলিম ভোট শতাংশে যায় আসেনি বিজেপির। যে অঞ্চলে কম সংখ্যক মুসলিম থাকেন সেখানে এবং যেখানে বেশি সংখ্যক থাকেন সেই আসনেও ভোট শতাংশ যথেষ্ট সন্তোষজনক বিজেপির৷ তবু কথায় আছে সাবধানের মার নেই। এই নির্বাচনকে যোগী আদিত্যনাথের লিটমাস টেস্ট বলছেন অনেকে। তাই ঝুঁকি নিতে চাইছে না বিজেপি।
কী বলছেন জামাল সিদ্দিকি?
দলের সংখ্যালঘু মোর্চার জাতীয় সভাপতি জামাল সিদ্দিকী বলেন, ' মুসলিমদের উন্নতির জন্য মোদী সরকার যে যে পদক্ষেপ নিয়েছে। জাতীয় স্তরে তা প্রচার করা হবে। যে সমস্ত রাজ্যে নির্বাচন রয়েছে সেখানে আরও বেশি করে এই খতিয়ান তুলে ধরা হবে৷' তিনি আরও বলেন, 'ব্লক স্তরের নেতা থেকে শুরু করে মন্ত্রী অবধি প্রত্যেক নেতা নিজের বাড়ি থেকে দুপুরের খাবার নিয়ে আসবেন। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে বসে একসঙ্গে খেতে খেতে এ বিষয়ে আলোচনা করবেন তাঁরা। সমাজে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। তিন তালাক তুলে নেওয়া থেকে শুরু করে বিশেষ হাউসিংয়ের বন্দোবস্ত করা, নতুন চাকরির সুযোগ দেওয়া৷ আমাদের সরকার একাধিক কাজ করেছে তাঁদের জন্য। আমরা মানুষের দুয়ারে গিয়ে সেই সমস্ত বার্তা ছড়িয়ে দেবো।'
পুরভোটে সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই! গোয়ায় গিয়ে ধাক্কা খেয়েছেন মমতা, বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ