শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, রাজ্য সরকার প্রতিবছর ক্লাবগুলিকে টাকা দেয়। তিনি অভিযোগ করেছেন, এত টাকা মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছেন, প্রথমে দুলক্ষ, পরে তিনলক্ষ, যে কাজের জন্য টাকা দেওয়া হয়েছে, তার ৫০ শতাংশ টাকা তৃণমূলে স্থানীয় নেতা এবং বিধায়করা ক্লাবের নামে তুলে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যে টাকা দান-খয়রাতিতে ব্যবহার করা হয়েছে, তার পরিমাণ একহাজার কোটি টাকারও বেশি। এই র্থ ঠিক কোথায় গিয়েছে, তা খুঁজে বের করতে সিএজি অডিট হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী চিঠি দেবেন
শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হিসেবে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখবেন, এই দান খয়রাতি নিয়ে। এছাড়াও উনি (মুখ্যমন্ত্রী) অবসরপ্রাপ্তদের নিয়োগ করেছেন। উদাহরণ হিসেবে প্রাক্তন মুখ্যসচিবের কথাও উল্লেখ করেছেন শুভএন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি সরকারি টাকা থেকে এগুলো করা যায় না।
কেন্দ্রের টাকায় দানছত্র, অভিযোগ দিলীপেরও
অন্যদিকে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করেছেন, রাজ্যের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে কেন্দ্র বেশি টাকা পাঠায়। কিন্তু সেই টাকা দিয়ে রাজ্যে দানছত্র খোলা হয়েছে বলে এদিন অভিযোগ করেছেন তিনি। তাঁর আরও অভিযোগ, যেসব জায়গা থেকে রাজ্যের অর্থ উপার্জন হতে পারে, তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের লোকেরা খেয়ে ফেলেছে, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতি করছেন।
তৃণমূলের পাল্টা কটাক্ষ
শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় পাল্টা কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেছেন, শুভেন্দু অধিকারী আগে যে কয়েকবছর বিধায়ক ছিলেন সেটাও দেখতে হবে। শুভেন্দু অধিকারীকেও এর প্রমাণ দিতে হবে। তিনি পাল্টা বলেছেন, শুভেন্দু অধিকারীও স্বীকার করে নিচ্ছেন, তাঁর সময়ে যা হয়েছে, তারও অডিট হয়নি।
শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ যে মিথ্যা নয়, এর আগেই তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। পটাশপুর-২ ব্লকের তৃণমূল নেতা নীলমাধব দাস স্থানীয় বিধায়ক জ্যোতির্ময় করের কাছে অভিযোগ জানিয়ে বলেছিলেন, সেখানকার ক্লাবের তালিকায় পঁচেটগড় হিউম্যান ওয়েলফেয়ার সোসাইটি নামে একটি ক্লাবের নাম রয়েছে। কিন্তু ওই ক্লাবের কোনও অস্তিত্ব নেই। ওই ক্লাবের সঙ্গে কারা যুক্ত তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। ক্লাবের তালিকা সবার সামনে আসায় বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়ে।