আফগানিস্তানে তালিবানের পাশে চিন ও পাকিস্তান!
বিশ্ব রাজনীতি তথা কূটনীতি নিয়ে যাঁরা ওয়াকিবহাল, তাঁরা জানেন, আফগানিস্তান সমস্যায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দু'টি দেশের নাম হয়ত পাকিস্তান এবং চিনই। অগাস্ট মাসে তালিবান কাবুল দখল করার পর এই দুই দেশই সমর্থন করেছিল তাদের। কাজেই আফগানিস্তান ইস্যুতে দু'টি রাষ্ট্রের বৈঠক এড়ানো নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। তবে চিন-পাকিস্তান অনুপস্থিত থাকলেও উপস্থিত থাকবে রাশিয়া, তাজাকিস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, কাজাকিস্তান, কির্গিস্তানের মতো দেশগুলি। প্রতিটি দেশেরই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা উপস্থিত থাকবেন এই বৈঠকে। ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন এনএসএ অজিত ডোভাল। উল্লেখযোগ্যভাবে চিন অনুপস্থিত থাকলেও তারা জানিয়েছে, দ্বিপাক্ষিক আলোচনার জন্য সর্বদা প্রস্তুত বেজিং৷
কী নিয়ে আলোচনা?
সূত্রের খবর, প্রাদেশিক নিরাপত্তা নিয়েই এই বৈঠকে আলোচনা হবে৷ তালিবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর কীভাবে তার প্রভাব পড়বে সেই সীমান্তে, তা নিয়ে আলোচনা করবে প্রতিটি দেশ৷ মূলত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া, পরিকল্পনা করাই এই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে যন্ত্রপাতি, অস্ত্রশস্ত্র ফেলে গিয়েছে, মাদক উৎপাদন, পাচার থেকে শুরু করে মানব পাচার সব নিয়েই আলোচনা করা হবে৷
মোদীকে ফোন!
বৈঠকের পাশাপাশি নিরাপত্তা আধিকারিকরা সবাই মিলিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করবেন বলেও জানা গিয়েছে। অনেক অতিথি আবার বৈঠক শেষে ঘুরে আসবেন অমৃতসর, আগ্রাতে। সমস্ত দেশের নিরাপত্তা আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও হবে বলে জানা গিয়েছে।
উত্তরপ্রদেশ ভোটের আগে মুসলিমদের মন পেতে 'তালিম অউর তিজরাত' শুরু করল বিজেপি