উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া
এদিন সকালে আবহাওয়া দফতরের তরফে বলা হয়েছে, পরবর্তী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ১০ নভেম্বর বুধবার সকালের মধ্যে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার আবহাওয়া পুরোপুরি শুকনো থাকবে। হাল্কা কুয়াশা থাকবে, আগামী দুদিন রাতের তাপমাত্রা পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে তারপর থেকে রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া থাকতে চলেছে উত্তরবঙ্গের মতোই। এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘন্টায় অর্থাৎ ১০ নভেম্বরের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলার আবহাওয়াও শুকনো থাকবে। কোনও কোনও জায়গায় হাল্কা কুয়াশা থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে। আগামী দুদিন রাতের তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন না হলেও তারপর তা কমতে পারে। এদিন পুরুলিয়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আগের দিনের থেকে কমলেও, পশ্চিমের অন্য জায়গার তাপমাত্রা গত দিনের থেকে সামান্য বেড়েছে। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের কারণে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে মেঘলা আবহাওয়া তৈরি হতে পারে। যার জেরে তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
কলকাতার আবহাওয়া
এদিন কলকাতার তাপমাত্রা গত দিনের থেকে সামান্য কমেছে। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রির মতো কম। প্রসঙ্গত গত ২০১৬-র ৮ নভেম্বর কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন তাপমাত্রা তার থেকেও নেমে গেল। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে গত ১৬ বছরে এনিয়ে দ্বিতীয়বার নভেম্বরের শুরুতে তাপমাত্রা এত নেমে গেল। কলকাতা ও আশপাশের এলাকার আগামী ২৪ ঘন্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সাধারণভাবে আকাশ পরিষ্কার থাকবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩০ ও ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে।
উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা( ডিগ্রি সেলসিয়াস)
ব্র্যাকেটে আগের দিনের তাপমাত্রা
আসানসোল ১৭.২ (১৭.৭)
বালুরঘাট ১৭.৫ (১৭.২)
বাঁকুড়া ১৫.৭ (১৬.২)
ব্যারাকপুর ১৮.২ (১৭.২)
বহরমপুর ১৯ (১৯.২)
বর্ধমান ১৭ (১৭)
ক্যানিং ১৮ (১৮)
কোচবিহার ১৪.৭ (১৫.১)
দার্জিলিং ৮.৫ (৮)
দিঘা ১৭ (১৭.৪)
কলকাতা ১৮.৩ (১৮.৭)
মালদহ ২০.১ (১৯.৯)
পানাগড় ১৬ (১৫.৬)
পুরুলিয়া ১৪.১ (১৪.৫)
শিলিগুড়ি ১৫ (১৫.৪)
শ্রীনিকেতন ১৫ (১৪.৮)
সাগরে নিম্নচাপের ভ্রুকুটি
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন ভারত মহাসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। এর জেরে আগামী ২৪ ঘন্টায় দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা। যা পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় সক্রিয় হয়ে পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। যা তামিলনাড়ু উপকূলে পৌঁছনোর সম্ভাবনা ১১ নভেম্বর নাগাদ। সেই সময় থেকে অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু উপকূলে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে বলেই মনে করছে আবহাওয়া দফতর।