নোটবন্দির ঘোষণা
উল্লেখ্য, পাঁচ বছর আগে ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর রাত ৮ টার সময় সমগ্র দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ১০ মিনিটের ভাষণ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই ১০ মিনিটের ভাষণে তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, ৫০০ আর ১০০০ টাকার নোট আর বাজারে চলবে না। কালো ধন ফেরত আনতে নোটবন্দিকে হাতিয়ার করেছিলেন মোদী। সেইসময় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া দাবি করেছিল যে, ৯৯ শতাংশ কারেন্সি নোট ব্যাঙ্কে ফেরত এসেছে। তবে সোমবার টুইটারে এই নোটবন্দি নিয়ে প্রচুর মিম পোস্ট হতে দেখা গিয়েছে।
অসংখ্য মিম সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে
নেটিজেনরা এই নোটবন্দির বিপক্ষে গিয়ে বহু মিম পোস্ট করেছেন। যেখানে একটি মিমে ব্যাঙ্গ করে বলা হয়েছে, ‘পাঁচ বছর ধরে আমরা চিপ লাগানো নোট ব্যবহার করছি।' সেখানে ছবি দেওয়া হয়েছে ২০০০ টাকার নোটের ওপর একটি কলার চিপস। অন্য এক নেটিজেন তাঁর মিমে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটের ঠোঙায় বাদাম ভরেছেন, তার ছবিও দিয়েছেন। আরও একটি মিমে দেখা গিয়েছে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটে মালা পরানো ও ক্যাপশনে লেখা, ‘পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকীতে পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটকে আসুন স্মরণ করি।'
টুইটারে ট্রেন্ড ডিমনিটাইজেশন
টুইটারে ইতিমধ্যেই ট্রেন্ড হয়ে গিয়েছে ডিমনিটাইজেশন হ্যাশট্যাগ। একজন নেটিজেন পাঁচ বছর আগে নোটবন্দির সময়ে এটিএমের লাইনে দাঁড়ানো মানুষের ভিড়ের ভিডিও পোস্ট করেছেন। এই ভিডিও সত্যিই পাঁচ বছর আগেকার স্মৃতি উস্কে দিয়েছে। অনেকে আবার লিখেছেন নোটবন্দি দুর্নীতি, কালো টাকা বা সন্ত্রাস কোনওটাই অবসান করতে পারেনি। মূলতঃ প্রত্যেকটি মিমেই কেন্দ্র সরকারের ব্যর্থতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। এক নেটিজেন পোস্ট করেছেন যে ‘২০১৬ সালে মোদী সরকারের দ্বারা এই নোটবাতিলের উদ্দেশ্য এখনও খুঁজে চলেছি। মোদী সরকার জবাব দিক এই নোটবন্দির কি সুবিধা হয়েছে? কোনও কারণ ছাড়া একশো জনের বেশি মানুষের মৃত্যুর দায় কে নেবে?'
ডিজিটাল লেনদেন ও ২০০০ টাকার নোট
প্রসঙ্গত, সেইসময় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ভরসা রেখেছিল ডিজিটাল লেনদেনের ওপরে। নগদ না পেয়ে অনেকেই ডিজিটাল মাধ্যম আপন করে নেবেন যার ফলে নোট বাতিল প্রক্রিয়ায় ততোধিক চাপ পড়বে না বলেই ভেবেছিল আরবিআই। নোটবাতিলের ফলে দেশের জিডিপি গ্রোথ রেট অনেকটাই কমে গিয়েছিল। দেশের আর্থিক বিকাশ পাঁচ শতাংশ কমে যায়। কিন্তু অন্যদিকে ৫০০ ও ১০০০ নোট যেমন বাতিল করা হয় তেমনই নোটের সমতা ঠিক রাখতে ২০০০ টাকার নতুন নোট ছাপানো হয়। প্রথমে এই নোট ছাপানোর কোনও পরিকল্পনা ছিল না। তবে অর্থনীতির হাল হকিকত যাচাই করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি নতুন একটি নোট আসায় চমকও দেখা গিয়েছিল। তবে নোটবন্দির ফলে করদতাদের সংখ্যাও বেড়েছিল বলে দাবি করেছে কেন্দ্র সরকার। নোটবন্দির ফলে বাজারে চলতি নকল নোটের প্রকোপও কমেছে। কিন্তু অধিকাংশ দেশবাসীর কাছে এই নোটবন্দির সিদ্ধান্ত মোটেও ভালো ছিল না বলেই দাবি করেছেন তাঁরা।
সেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ধরে ফেলেছিলেন নোট বাতিলের 'ছক'! মোদীকে তীব্র আক্রমণ ডেরেকের