তৃণমূলের জয়জয়কার!
সদ্য চার বিধানসভা কেন্দ্রে বড় জয় পেয়েছে তৃণমূল। শান্তিপুর, জয়নগর, দিনহাটা এবং খড়দাতে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন শাসকদলের প্রার্থীরা। যেমন কোচবিহারের দিনহাটায় রেকর্ড ভোটে জিতেছেন বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের পরাজিত প্রার্থী উদয়ন গুহ। এক লক্ষ্যেরও বেশী ভোটে জয় পেয়েছে গোসাবাতে সুব্রত মন্ডল। শান্তিপুরে জয় পেয়েছেন ব্রজকিশোর গোস্বামী। এবং খড়দহতেও জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। চার কেন্দ্রেই মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। এমনকি নিজেদের হাতে থাকা আসনও হাতছাড়া হয়েছে তাঁদের।
শপথ ঘিরেই চূড়ান্ত নাটকীয়তা!
সদ্য জয় পাওয়া তৃণমূল বিধায়কদের শপথ বাক্য পাঠ করানো নিয়েই সংঘাত। আগে বিধানসভাতে স্পিকার শপথ বাক্য পাঠ করাতেন। কিন্তু গতবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিধায়ক হিসাবে শপথবাক্য আঠ করানো নিয়ে সংঘাত তৈরি হয় রাজ্যপালের। কিন্তু এবার আরও একধাপ বাড়ালেন সেই সংঘাত। এবার চার বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করাতে পারবেন না রাজ্যপাল। কিন্তু শপথ বাক্য পাঠ করানোর জন্য ডেপুটি স্পিকারকে দায়িত্ব দিয়েছেন রাজ্যপাল। আর এখানেই প্রশ্ন। স্পিকার থাকতে কেন ডেপুটি স্পিকার। স্পিকার-রাজ্যপাল সংঘাতের কথা কারোর অজানা নয়। আর সেই সংঘাতের কারনে কি এই সিদ্ধান্ত? উঠছে প্রশ্ন।
অধিকার ফিরিয়ে নেন রাজ্যপাল!
রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপাল তাঁর মনোনীত ব্যক্তিকে সাংসদ-বিধায়কদের শপথগ্রহণের দায়িত্ব দেন। তাই লোকসভা বা রাজ্যসভার ক্ষেত্রে শপথবাক্য পাঠ করান প্রোটেম স্পিকার। স্পিকার নির্বাচন হয়ে গেলে লোকসভার ক্ষেত্রে সেই দায়িত্ব পান স্পিকার। আর বিধানসভার ক্ষেত্রে রাজ্যপাল সেই দায়িত্ব দেন বিধানসভার স্পিকারকে। রাজভবন সূত্রে খবর, রাজ্যপালের দেওয়া সেই ক্ষমতা এবার প্রত্যাহার করে চিঠি দেওয়া হয় বিধানসভার স্পিকারকে। রাজভবন থেকে বিধানসভায় যে চিঠি পাঠানো হয়েছে, সেই চিঠিতে স্পষ্ট করেই জানানো হয়েছে, সংবিধানের ১৮৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী রাজ্যপাল এতদিন শপথগ্রহণ করানোর যে অধিকার স্পিকার বা বিধানসভার অধ্যক্ষকে দিয়েছিলেন, তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। আইনি বলে এই অধিকার ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
মমতাকে শপথ পাঠ করান রাজ্যপাল
স্পিকারের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার পর বিধায়কদের শপথ বাক্য পাঠ করানোর সিদ্ধান্ত রাজ্যপালের কাছে। আর এরপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শপথ আঠ করান করান তিনি। কিন্তু স্পিকারকে বাদ রেখে কেন এমন সিদ্ধান্ত উঠছে প্শ্ন।