কয়েকদিন আগে থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন যে উপত্যকার বুকে আপাতত টার্গেটেড কিলিং এর রাস্তা ধরে জঙ্গিরা নিজেদের অভিষ্টলক্ষ্য পূরণ করছে। কাশ্মীরে জঙ্গিরা একের পর এক সাধারণ নাগরিককে টার্গেট করে তাদের নিশানা তাক করতে শুরু করে দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কয়েকদিন আগেই জম্মু ও কাশ্মীরে এক স্কুলের মধ্যে ঢুকে এক শিখ স্কুল শিক্ষককে হত্যা করেছে জঙ্গিরা। এরপর এক পরিযায়ী শ্রমিক তাদের বলি হয়েছেন। এরপর এদিন কাশ্মীরে এক ব্যবসায়ীর কাছে কর্মরত এক সেলসম্যানকে গুলি করেছে জঙ্গিরা। সেই ব্যকতি আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শ্রীনগরের বোহরি কাদাল এলাকায় এক ব্যবসায়ীর কাছে বহুদিন ধরে কর্মরত ছিলেন এক সেলসম্যান। জানা যায়, স্থানীয় কাশ্মীরি পণ্ডিত হিসাবে ওই ব্যবসায়ীর পরিচিতি ছিল। আর সেই ব্যবসায়ীর দোকানের সেলসম্যানকে এদিন গুলি করে জঙ্গিরা। উল্লেখ্য,উপত্যকায় টার্গেটেড কিলিং এর একটি বড় দিক হল এই ঘটনা। এদিকে গুলিবিদ্ধকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে আপাতত ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে রবিবার এক পুলিশ কর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে স্থানীয়রা। শ্রীনগরের বাটামালু এলাকায় ঘটে গিয়েছে এই বিপত্তি। জানা গিয়েছে কনস্টেবল তৌসিফ নামের ওই পুলিশকর্মী এসডি কলোনি এলাকায় জঙ্গিদের গুলিতে আহত হয়েছেন। স্থানীয় পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, জঙ্গিরা আপাতত উপত্যকায় বিভেদ ঘটানোর হাত ধরে, এমন পথ বেছে নিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যে নাগাদ ৮ টাার সময় এই পুলিশ কর্মীকে দেখে গুলি তাক করে জঙ্গিরা। কনস্টেবল তৌসিফের বাড়ির সামনই তাঁকে গুলি করা হয় বলে খবর। এদিকে, পুলিশের দাবি যাতে উপত্যকায় সন্ত্রাসের আতঙ্ক জোরালো থাকে তার জন্যই এমন খুনের রাস্তা বেছে নিয়ছে জঙ্গিরা। উপত্যকায় সাম্প্রদায়িক সংঘাত বজায় রাখতেই এমন ঘটনা ঘটানো হচ্ছে বলে অনুমান বিভিন্ন গেয়েন্দা সংস্থার। এদিকে, জঙ্গিদের এমন মতলবের কিনারা করতে তৎপর প্রশাসন। একাধিক জায়গায় গোটা কাশ্মীর জুড়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে নানান অভিযান। উপত্যকার বুকে একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে জঙ্গিদের নিকেশ করছে সেনা। তবে পাকিস্তান থেকে ধীরে ধীরে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশেই কাশ্মীরে এমন নয়া আতঙ্কের সৃষ্টি হচ্ছে বলে খবর। গোটা পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রেখেছে দিল্লি।