বিরোধী দলনেতার লালবাতি নিভছে!
নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে এমন চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেন সৌমেন মহাপাত্র। তিনি বলেন, বিরোধী দলনেতার লালবাতি নিভছে কিছুদিনের মধ্যেই। তিনি তৃণমূলে ভিড়তে পারেন। আর তা শুধু সময়ের অপেক্ষা। সৌমেন মহাপাত্র এমন মন্তব্য করায় জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। তৃণমূলে শুভেন্দুর বিপরীত গোষ্ঠীর নেতা ছিলেন সৌমেন। হঠাৎ কেন তিনি শুভেন্দুর দলে ফেরা নিয়ে মন্তব্য করলেন, তা নিয়ে জল্পনা।
তৃণমূলে যোগদান সময়ের অপেক্ষা শুভেন্দুর
কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে নন্দীগ্রামের সীতানন্দ কলেজ মাঠে তৃণমূল সভায় সৌমেন মহাপাত্র বলেন, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে যারা বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন তাঁরা অনেকেই ইতিমধ্যে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে এসেছেন। আগামী দিনে শুভেন্দু অধিকারীর যোগদান কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষা।
খুব শীঘ্রই ৩০-এর নিচে নেমে আসবে বিজেপি
তিনি বলেন, বিজেপির আসনসংখ্যা খুব শীঘ্রই ৩০-এর নিচে নেমে আসবে। বিজেপি পরিষদীয় টিমের এমনই হাল হবে যে শুভেন্দু নিজেও ফিরে আসতে পারেন তৃণমূল কংগ্রেসে। নন্দীগ্রামের ফলাফল নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। সেই মামলার রায় বেরোলে তিনি আর বিরোধী দলনেতা থাকবেন না।
শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তোপ, জল্পনা বাড়ালেন সৌমেন
শুভেন্দুকে নিয়ে এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করার পর স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা শুরু হয়েছে। নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে যেভাবে তোপ দাগা হয়েছে এবং যে জল্পনার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, তাতে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের এই সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, তৃণমূল নেতা পূর্ণেন্দু বসু, বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী, তমলুক জেলা সভাপতি দেবপ্রসাদ মণ্ডল, তৃণমূল নেতা নেতা সেখ সুফিয়ান প্রমুখ। ১০ নভেম্বর শহিদ দিবস উদযাপনের ঘোষণা করা হয় এই মঞ্চ থেকে।
সৌমেন মহাপাত্রই নন, কল্যাণও সরব শুভেন্দুর নামে
সৌমেন মহাপাত্রই প্রথম নন, এর আগে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারীর নাম নিয়ে। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য ছিল, রাগ করিস না শুভেন্দু, অনেক কথা বলে ফেলেছি। আর রাগ করিস না। কখন কোনদিন তুইও চলে আসবি। আমার থেকে অনেক কাছের হয়ে উঠবি তৃণমূলের। যাদের যাদের সমালোচনা করেছিলাম, তাদের সবাইকে বলছি রাগ করিস না ভাই। সেদিন তোরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে চলে গিয়েছিলি তাই বলেছিলাম।