বিজেপি ছাড়ছেন জয়!
বিধানসভা ভোটে বিজেপি মুখ থুবড়ে পড়তেই বিদ্রোহের সুর চড়িয়েছিলেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, ভবানীপুর সহ ছয় কেন্দ্রের উপ নির্বাচনেও হারতে হয় বিজেপিকে। এমনকি সদ্য শেষ হওয়া চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনেও একেবারে জামান্ত জব্দ পর্যন্ত হয় বিজেপি নেতাদের। রাজ্যের প্রধান বিরোধী শক্তি হওয়ার পরেই প্রার্থীদের এই হালের পরেই প্রশ্ন তুলেছেন জয়। এবার সরাসরি দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত। একেবারে মোদীকে সরাসরি চিঠি লিখে দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত অভিমানী বিজেপি নেতার। জয় জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই বিজেপি ছাড়বেন। আর এই সিদ্ধান্তের কথাই মোদীকে জানালেন বলে জানিয়ছেন তিনি।
বিজেপি বাঙালি হল না
ভবানীপুরে প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালকে প্রার্থী করা নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, এরাজ্যে বিজেপিকে আগে বাঙালি হয়ে উঠতে হবে। বাংলায় মানুষের মন জয় করতে গেলে বাঙালি প্রার্থী দিতে হবে। বিধানসভা ভোটের মতোই ভুল বিজেপি উপনির্বাচনেও করছে বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুর থেকে ৫০ হাজারের বেশি ভোটে জয় পাবেন। আর হয়েছিলও তাই।
বিস্ফোরক জয়
দিন কয়েক আগে বিজেপি ছাড়ার কথা ঘোষণা করে অভিনেতা রাহুল চক্রবর্তী দাবি করেছিলেন তাঁকে টিকিট পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা চেয়েছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার। সেই অভিযোগ জয়প্রকাশ মজুমদার অস্বীকার করলেও জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, যা রটে, তার কিছু তো বটে। জয়প্রকাশ মজুমদারকে নিশানা করে তিনি বলেছেনস কিছুদিন আগে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়েছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার। জয়প্রকাশ মজুমদারের উদ্দেশে জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, কংগ্রেস থেকে আসা এই ব্যক্তির উচিত রাহুল চক্রবর্তীর মন্তব্যকে চ্যালেঞ্জ জানানো। না হলে দলের ভাবমূর্তি খারাপ হবে আর তৃণমূলের সঙ্গে প্রতিযোগিতাও জমবে না বলে মন্তব্য করেছেন জয়।

তৃণমূলে যোগ জয়ের!
খুব শীঘ্রই বিজেপি ছাড়ছেন জয়। শোনা যাচ্ছে, তৃণমূলে তাঁর যোগদান সময়ের অপেক্ষা। জয়ের স্ত্রী তৃণমূল কাউন্সিলার ছিলেন। জনসংযোগ ভালোই জানেন। এবার কি স্ত্রীয়ের হাত ধরেই তৃণমূলে যোগদান জয়ের শুধু সময়ের অপেক্ষা? জোর জল্পনা।