গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে অনেকটাই কমল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০,৯২৯ জন। দীপাবলির পরে যথেষ্ট সন্তোষজনক অবস্থায় রয়েছে দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। তবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে ৈদনিক মৃত্যু অনেকটাই বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে মারা গিয়েছেন ৩৯২ জন।
দেশে সদ্য দীপাবলি উৎসব শেষ হল। উৎসবের মরশুমে করোনা সংক্রমণ বাড়বে আশঙ্কায় ছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সেকারণে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত গোটা দেশে করোনা বিধি বহাল রাখা হয়েছিল। কিন্ত দীপাবলির পরেও দেশের দৈনিক সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখীই রয়েছে। তবে কয়েকটি রাজ্যে সংক্রমণ বেড়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, অসম, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, কেরল, মহারাষ্ট্র। যদিও কেরল এবং মহারাষ্ট্রে এখন পরিস্থিতি অনেকটাই উন্নত। তবে পশ্চিমবঙ্গ এবং অসমে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। দুর্গাপুজোর পর থেকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গে। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারকে করোনা বিধি কড়া করার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
করোনা সংক্রমণ বাড়লেও রাজ্যে একাধিক বিষয়ে ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে। লোকাল ট্রেন চালু করা হয়েছে। ১৬ নভেম্বর থেকে খুলে যাচ্ছে রাজ্যের সব স্কুল-কলেজ। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়লেও বিয়েবাড়ি, সিনেমা হল, জিমে ৭০ শতাংশ জমায়েতের ছাড় দেওয়া হয়েছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে একাধিক জায়গায় কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। কলকাতা শহরেও কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। ছটপুজোয় নাইট কার্ফুতে ছাড় ঘোষণা করলেও জগদ্ধাত্রী পুজোতে নাইট কার্ফু বহাল রাখা হয়েছে। চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোয় ভিড় হতে পারে আঁচ করেই প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ করেছে।
করোনা ভাইরােসর অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যাও দেশে অনেকটাই কমেছে। অক্টোবর মাসে করোনার থার্ড ওয়েভ চকমে উঠবে বলে সতর্ক করেছিলেন গবেষকরা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত করোনা গ্রাফের গতি সেদিকে ইঙ্গিত করছে না। ১০০ কোটি করোনা টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে ভারতে। দেশের সম্পূর্ণ টিকাকরণের দিকে এগোচ্ছে মোদী সরকার। এই নিয়ে তৎপরতা শুরু করেছে মোদী সরকার। গত পরশুই করোনা টিকাকরণ নিয়ে ১০ রাজ্যের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন তিনি। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সকলকে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছেন মাস্ককে জীবনের অংশ করে নিেত হবে। করোনা সংক্রমণ কমলেও সতর্ক হয়ে থাকতে হবে সকলকে পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। দেশে করোনা টিকা উৎপাদনের কারণেই এত দ্রত করোনা টিকাকরণ করানো সম্ভব হয়েছেন বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।