হরিয়ানায় রাস্তা আটকে পড়া হত নমাজ এবার সেখানেই গোবর্ধন পুজো করল হিন্দু সংগঠন
হরিয়ানার গুরুগ্রামের একটি রাস্তায় এতদিন নামাজ পড়া হত। এবার সেই স্থানেই গোবর্ধন পুজোর আয়োজন করেছিল সংযুক্ত হিন্দু সংঘর্ষ কমিটি। গুরুগ্রাম সেক্টর ১২-এর সেই পুজোতেই উপস্থিত হলেন বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র।

গুরুগ্রাম সেক্টর ১২-এর সংশ্লিষ্ট স্থানটিতে আগে নমাজ পড়তেন ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা। গত মাসের শেষদিকে সেখানেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ২৬ জন। পুলিশ সেই মুহূর্তেই তাদের গ্রেফতার করে। জানা গিয়েছে তাদের মধ্যে অনেকেই দক্ষিণপন্থী সংগঠনের সদস্য ছিলেন। গ্রেফতার করলেও বেশিক্ষণ হাজতে কাটাতে হয়নি তাদের। সেইদিনই জামিনে ছাড়া পান তাঁরা।
শুক্রবার গোবর্ধন পুজোয় এসে কপিল বাজি পোড়ানো নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি বলেন, 'গতকাল দীপাবলি উপলক্ষে একাধিক বিধিনিষেধ ছিল বাজি পোড়ানোয়। কিন্তু কী লাভ হল? যত দমিয়ে রাখা হবে, অত্যাচার করা হবে, ততই অদমনীয় হয়ে উঠব আমরা। এমনিতে শান্তিপ্রিয় মানুষ কিন্তু অত্যাচার করলে সেটাই হবে যা গতকাল হয়েছে। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে একটা ধাক্কা পালটা দিতেই হয়।'
তিনি আরও বলেন, 'রাজনীতির জন্য রাস্তাঘাট ব্যবহার করবেন না। এর আগে আমরা শাহিনবাগের কাণ্ড দেখেছি। ওরা রাস্তা বন্ধ করে তামাশা করছিল। সিএএ উঠে গিয়েছে তাতে? ধমনী এবং শিরা বন্ধ হলে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তেমনই রাস্তাঘাট বন্ধ করলে গোটাদেশ বন্ধ হয়ে যায়। সংবিধানে প্রত্যেকের সমানাধিকারের কথা বলা আছে। কিন্তু রাস্তা বন্ধ করা কোনও ধর্মের অঙ্গ হতে পারে না। গুরুগ্রাম মেট্রোপলিটন সিটি হিসেবে বিশ্বে বিখ্যাত। এই রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া কোনও ধর্মের অঙ্গ হতে পারে না। রাস্তার ওপর প্রথম অধিকার পথচারীদের। যারা নিজেদের কাজ, হাসপাতাল সহ গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্যে যাচ্ছেন। আর যদি স্থানীয় মানুষ এতে আপত্তি জানায়, তাহলে তো কথাই নেই। বাইরে থেকে মানুষ এসে প্রার্থনা করেন।'
কপিলের বক্তব্য, ' আমি শুধু বলতে চাই, মানুষ তাদের ধর্মীয় স্থানে পুজোআচ্চা করুক। এই দেশে ওয়াকফ বোর্ডের কাছে সর্বাধিক জমি আছে। ওখানে প্রয়োজনীয় বন্দোবস্ত করে আরাধনা করুক। এটা শুধুমাত্র গুরুগ্রামের সমস্যা নয়। এই পুজোর মাধ্যমে আমরা দেশের সবাইকে অনুপ্রাণিত করতে চাই যাতে তারা নিজেদের কথা বলেন। রাস্তা বন্ধ করে প্রার্থনা করা যাবে না। মানুষকে স্কুল-কলেজ-হাসপাতাল যেতে আটকানো যাবে না।'