স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে বড় জয়, নিউজিল্যান্ডের একটা হারের অঙ্কে টিকে রয়েছে ভারতের আশা
পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডের কাছে পরপর হারের পর অপেক্ষাকৃত দুর্বল আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে জয় তুলে নিয়েছে ভারত। তবে যতই বিরাট মার্জিনে জিতুক, সেমিফাইনাল এখনও অনিশ্চিত তাদের কাছে। এমন পরিস্থিতিতেই শুক্রবার স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নামছে ভারত। সেমি-ফাইনাল খেলতে গেলে শুক্রবার শুধু জিতলেই হবে না, বড় মার্জিনে জিততে হবে ভারতকে।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরুটা মোটেও ভাল করেনি ভারত। ইতিহাসে এই প্রথমবার কোনও বিশ্বকাপের ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হেরেছে। দ্বিতীয় ম্যাচে কিউইদের সামনে আরও কুৎসিত হার হজম করতে হয়েছে বিরাটবাহিনীকে। সেই হার এতটাই বিশ্রী যে প্রলেপ দিতে পারেনি আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে বিশাল জয়ও। একাধিক প্রশ্ন উঠছে দলকে নিয়ে। টিম ম্যানেজমেন্ট, কোচের ভূমিকা, বিরাটের ক্যাপ্টেন্সি, ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের কাছে এই মুহূর্তে সবই আতসকাঁচের নিচে৷
অন্যদিকে স্কটল্যান্ড নিজেদের মান অনুযায়ী যথেষ্ট ভাল ক্রিকেট খেলেছে এখনও অবধি। আইসিসির সহকারী দেশগুলির মধ্যে থেকে নামিবিয়া, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশের পাশাপাশি তারাও মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। আর শুধুই যোগ্যতা অর্জন নয়! গত বুধবার কিউইদের বিরুদ্ধে বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বেশ ভালই খেলছিল তারা। একটা বড় ওভার, বড়সড় পার্টনারশিপ পেলে হয়ত তারা হারিয়েও দিত নিউজিল্যান্ডকে।
সেই পার্ফমেন্স নিঃসন্দেহে তাদের মনোবল বাড়িয়েছে বলেই ধরে নেওয়া যায়। আর সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই ভারতের বিরুদ্ধেও মাঠে নামবে তারা। ক্রিকেট মহা অনিশ্চয়তার খেলা, মহান ব্যাটসম্যানদেরও আউট হতে মাত্র একটা ডেলিভারি লাগে। সেখানে ভারতকে হারানোর আশা না দেখলেও একটা কড়া টক্কর দিতেই পারে তারা। আর তেমনটা হলে মনমতো নেট রানরেট বাড়াতে পারবে না ভারত, আরও কঠিন হবে সেমিফাইনালের অঙ্ক।
তবে বড় ব্যবধানে স্কটল্যান্ডকে হারালেও নিউজিল্যান্ড যদি অপরাজেয় থাকে বাকি ম্যাচগুলিতে তাহলে ভারতের এবারের মতো
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ। আবার নিউজিল্যান্ড যদি কোনও ম্যাচ হারেও তাহলেও রানরেটে এই মুহূর্তে অনেকটাই এগিয়ে তারা৷ তাই এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের সফর অনেকগুলি যদি ও কিন্তুর উপরই নির্ভর করে থাকল৷