পাকাপাকিভাবে বন্ধ হতে পারে রান্নার গ্যাসের উপর সরকারের ভর্তুকি! রইল এই বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা
প্রতিমাসেই গ্যাসের দাম বাড়ছে। মধ্যবিত্তের পকেটে টান। সরকারের তরফে ভর্তুকি দেওয়া হলে ঠিক মতো পাওয়া যায় না বলে একটা অভিযোগ রয়েছে। আর এই অবস্থায় রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারে ভর্তুকি নিয়ে বেশ কিছু (LPG cylinder Subsidy) তথ্য সামনে আসছে।
সম্প্রতি সরকার একটি Internal Assessment করেছে। যেখানে এলপিজি সিলিন্ডার পিছু গ্রাহকদের ১,০০০ টাকা দিতে হতে পারে। কিন্তু কেন? এই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। এমনকি সরকারের তরফেও এই বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।

একাধিকবার আলোচনা করেছে
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর মোতাবেক, কেন্দ্রীয় সরকার ভর্তুকি দেওয়া নিয়ে একাধিকবার আলোচনা করেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও যোজনা তৈরি করেনি। এই মুহুতে সরকারের কাছে দুটি পরিকল্পনা খোলা রয়েছে। একটি কোনও রকম ভর্তুকি ছাড়া সিলিন্ডার সাপ্লাই করুক সরকার না হলে কিছু গ্রাহককে ভর্তুকি দিক। যদিও এখনও পর্যন্ত পুরো বিষয়টি জল্পনার মধ্যে রয়েছে।

সরকারের প্ল্যান আসলে কি?
ভর্তুকি দেওয়ার ক্ষেত্রে এখনও পজন্ত সরকারের তরফে কিছুই বলা হয়নি। রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ১০ লাখ টাকা আয়ের নিয়ম বজায় রাখা হবে আর উজ্বলা যোজনার (Ujjwala Scheme) অধীনে থাকা গ্রাহকরা সাবসিডি পাবেন। বাকিদের সাবসিডি বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। তবে বলে রাখা প্রয়োজন, এই যোজনা ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দারিদ্রতার নীচে বসবাসকারী যে সমস্ত পরিবার আছে তাঁদের এলপিজি সিলিন্ডার দেওয়ার জন্যে এই সুবিধা (LPG connection) দেওয়া হয়েছিল। ভারতে এই মুহুতে ২৯ কোটিরও বেশি এলপিজি কানেকশন রয়েছে। উজ্জ্বলা যোজনাতে প্রায় 8.8 এলপিজি কানেকশন রয়েছে।

এই মুহুর্তে কোন পর্যায়ে ভর্তুকি
২০২০ সালে গটা দেশে হু হু করে বাড়তে শুরু করে করোনা ভাইরাস। পরিস্থুতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লকডাউন ঘোষণা করে দেওয়া হয়। এই সময়ে হঠাত করেই কাচা তেলের দাম পড়তে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে এলপিজি ভর্তুকি দেওয়ার ক্ষেত্রে লাভবান হয় সরকার। কারণ দাম কম ছিল আর সাবসিডি নিয়ে পরিবর্তনের প্রয়োজন ছিল না। মে ২০২০ থেকে বেশকিছু এলাকায় এলপিজির সাবসিডি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে কিছু ক্ষেত্রে এই ছাড় দেওয়া হয়েছে।

ভর্তুকি দিতে সরকারের কত খরচ হয়!
ভর্তুকি দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের একটা বড় অংশের খরচ হয়। ২০২১ সালে ভর্তুকি দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের একটা বড় অংশের খরচ হয়েছে। তথ্য বলছে, গত অর্থবর্ষে সরকারের খরচ ছিল ৩,৫৫৯ কোটি টাকা ছিল। এর আগে অর্থ বর্ষে যা ছিল ২৪,৪৬৮ কোটি টাকা। আসলে এটি ডিবিটি স্কীমের অধীনে ছিল, যা ২০১৫য় শুরু করা হয়েছিল। এই স্কীমে যারা সাবসিডির আওতায় ছিলেন না, তাদের এলপিজি সিলিন্ডারের সম্পূর্ণ মূল্য দিতে হত।