করোনা বিরুদ্ধে তৈরি ওষুধ ৯০ শতাংশ কাজ দিচ্ছে, কমাচ্ছে মৃতের হার! চাঞ্চল্যকর দাবি Pfizer-এর
করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছে বিশ্ব। কিছুটা সংক্রমণ কমলেও এখনও পুরোপুরি মুক্তি পাওয়া যায়নি। তবে করোনার বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ চলছে। তবে ভ্যাকসিন দেওয়া হলেও এখনও করোনা সংক্রমণ হচ্ছে। ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও আক্রান্ত হতে হচ্ছে। সেখানে দাঁড়িয়ে উপায় কি!!! উপায় আছে। ওষুধ সংস্থা ফাইজার দাবি করছে তাঁদের তৈরি করোনার ওষুধ ৯০ শতাংশ কাজ দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, এই ওষুধ নাকি হাসপাতালে ভর্তি থেকে মৃত্যুর হার অনেকটাই দিতে সাহায্য করছে। সংস্থার দাবি, খুব শীঘ্রই তাঁদের তৈরি ওষুধকে করোনার বিরুদ্ধে নেওয়ার কথা ঘোষণা করবে আমেরিকা সহ একাধিক নিয়ামক সংস্থা।

ঘোষণাতে আশার আলো দেখতে শুরু
ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা ফাইজারের এই ঘোষণাতে আশার আলো দেখতে শুরু করেছে বিজ্ঞানীরা। মূলত ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ চালানো হলেও দেখা যাচ্ছে ভ্যাকসিনের পরেও বহু মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছে। এমনকি মৃত্যু পজন্ত হতে হচ্ছে। সেখানে দাড়িয়ে অনেক সময়ে ভ্যাকসিনের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নের মুখে পড়ে যেতে হচ্ছিল। অন্যদিকে করোনা রুখতে তেমন ওষুধ না থাকাতে আক্রান্ত সেভাবে ঠেকানোটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যেতে হচ্ছে। সেখানে দাঁড়িয়ে এই আবিষ্কার পথ দেখাবে বলে আশা।

একাধিক ব্যাক্তির উপর পরীক্ষা
ইতিমধ্যে একাধিক ব্যাক্তির উপর এই করোনার ওষুধ ট্রাই করা হয়েছে। আর এই ট্রায়ালের পর সংস্থা দেখেছে, একজনের মৃত্যু হয়নি। শুধু তাই নয়, হাসপাতালে ভর্তি করানোর রেটও অনেক কম। এই সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। তবে এই ওষুধ খেলে কি কোন সমস্যা হতে পারে কিংবা কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হবে কিনা সে বিষয়ে একটা প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে। কারণ এই বিষয়ে কিছু বলা হয়নি সংস্থার তরফে। তবে বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে খবর, এই ওষুধ মাত্রা অনেকটাই বেশি। আর তাই এই ওষুধ নিয়ে একাধিক গবেষক নাকি সতর্ক করেছে।

সমস্ত পরীক্ষা করেই সেফ
তবে সংস্থার দাবি, এটি সমস্ত পরীক্ষা করেই সেফ বলা হচ্ছে। ওই ওষুধের ব্র্যান্ড নেম হবে পাক্সলোভিড, এমনটাই জানা গিয়েছে। অ্যান্টি ভাইরাল হিসাবে কাজ করবে। সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনে দুবার তিনটি করে ওষুধ খাওয়াতে হবে রোগীকে। তাহলেই অনেকটাই উপকার পাওয়া যাবে। দ্রুত রোগীকে করোনা থেকে সেরে ঊঠতে সাহায্য করবে বলে আশা ওষুধ সংস্থার।

করোনা পিলকে স্বীকৃতি দিয়েছে ব্রিটেন
বিশ্বের মধ্যে ব্রিটেন প্রথম দেশ যারা প্রথম করোনা ট্যাবলেট নিয়ে এসেছে। দুই সংস্থা মিলে এই ওষুধ তৈরি করেছে। অভাবনীয় এই সাফল্য সামনে আসার পরেই উচ্ছ্বসিত বিজ্ঞানীরা। জানা যায়, আমেরিকার মার্ক এবং রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিক্স এই বিষয়ে দীর্ঘদিন কাজ চালাচ্ছিল। অবশেষে সাফল্য।