ভাইফোঁটায় বোনেদের কাছে নাড়ু খাওয়া হল না, গান স্যালুটে শেষ কৃত্যের প্রস্তুতি কেওড়াতলায়
প্রয়াত মন্ত্রীকে গ্যানস্যালুটেই বিদায় জানাবে রাজ্য সরকার। কেওড়াতলা মহাশশ্মানে হবে শেষকৃত্য। তার আগে বালিগঞ্জের বাড়িতে এবং একডালিয়া এভারগ্রিন ক্লাবেও নিয়ে যাওয়া হবে মরদেহ। সকাল থেকেই রবীন্দ্র সদনে শায়িত রয়েছে তাঁর দেহ। সেখানে একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতারা তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে গিয়েছেন। মন্ত্রী প্রয়ানে শোক প্রকাশ করে রাজ্যে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে।

কেওড়াতলা মহাশশ্মানে শেষকৃত্য
কেওড়াতলা মহাশশ্মানে হবে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা এবং পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের শেষকৃত্য। গতকালই এসএসকেএম হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। রাতেই সেখানে ছুটে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল থেকেই অর্ধনমিত রাখা হয়েছে জাতীয় পতাকা। কেওড়াতলা মহাশশ্মানে গান স্যালুটে মন্ত্রীকে শেষ বিদায় জানানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। যদিও সেই শেষকৃত্যে থাকবেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি হতকালই সেটা জানিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, সুব্রতদার মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। আমি শেষকৃত্যে থাকব না। ওঁর মরদেহ আমি দেখতে পারব না।

ভাইফোঁটা নেওয়া হল না
দুর্গাপুজোর ব্যস্ততার পর কালীপুজো এবং ভাইফোঁটাতে একটু হালকা মেজাজেই কাটাতেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এবারও বোনেদের কাছে ফোঁটা নেওয়ার কথাছিল। বোনেদের কাছে নাড়ু খেতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই ইচ্ছ্ আর পূরণ হল না। তার আগেই তাঁকে চলে যেতে হল। গতকাল রাতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন তিনি। তারপরে রাতে পিস হেভেনে রাখা হয়েছিল দেহ। সেখান থেকে সকালে নিয়ে যাওয়া হয় রবীন্দ্র সদনে। সেখানে দীর্ঘক্ষণ শায়িত ছিল তাঁর মরদেহ। সেখানে রাজনৈতিক েনতারা গিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

বালিগঞ্জের বাড়িতে যাবে দেহ
দুপুর ২টো নাগাদ পঞ্চায়েত মন্ত্রীর দেহ নিয়ে যাওয়ার কথা বিধানসভা ভবনে। রাজ্য রাজনীতির সঙ্গে কয়েকদশকের সম্পর্ক। একাধিকবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তাই বিধানসভা ভবনে নিয়ে যাওয়া হবে তাঁর দেহ। সেখান থেকে বালিগঞ্জের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া। পরিজনেরা সেই অপেক্ষায় রয়েছেন। সেখান থেকে একডালিয়া এভার গ্রিন ক্লাবে নিয়ে যাওয়ার কথা তাঁর দেহ তার পর কেওড়াতলা মহাশশ্মানে শেষকৃত্য। বালিগঞ্জের বাড়িকে অধীর অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁর পরিবারের লোকেরা।

শেষ শ্রদ্ধা বিজেপির
রবীন্দ্রসদনে প্রয়াত নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে গিয়েছেন একাধিক রাজনৈতিক নেতা। তালিকায় ছিলেন বিজেপি নাতারাও। বিজেপির সর্বভারতী সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের বলেছেন, তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক অনেকদিনে। বিধায়ক হওয়ার পর কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন। তাঁর মত রাজনীতিকের চল যাওয়া বড় ক্ষতি হয়ে গেল।