পেগাসাস ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিল কোন পদক্ষেপ ! বাইডেন প্রশাসন দিল সাফ ইঙ্গিত
পেগাসাস ইস্যুতে ইতিমধ্যেই কার্যত তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে গোটা দেশে। সংসদে এই বছর শীতকালীন অধিবেশনের ঠিক আগে এই পেগাসাস ইস্যুতে কার্যত তোলপাড় শুরু হয়। বিরোধীদের অভিযোগ উঠে আসে বিশ্বের ১৭ টি মিডিয়া হাউসের কনসর্টিয়ামের রিপোর্টের ভিত্তিতে। সেখানে আড়িপাতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয় মোদী সরকারকে। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে নিয়েছে বড়সড় পদক্ষেপ। পেগাসাসের নির্মাতা ইজরায়েলি সংস্থাকে এদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেদেশে কালো তালিকাভূক্ত করেছে। আর তা থেকেই বাইডেন প্রশাসনের বার্তা স্পষ্ট।

বিশ্বজুড়ে কয়েক হাজার সাংবাদিক, সমাজকর্মী সহ একাধিক ব্যক্তিত্ব পেগাসাস সফটওয়্যারের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এই কারণকে সামনে রেখেই আমেরিকা এনএসএ নামের পেগাসসাস প্রস্তুতকারক ইজরায়েলি সংস্থাকে কালো তালিকাভূক্ত করেছে। অভিযোগ রয়েছে বিশ্বর বহু ব্যবসায়িক এক্সিকিউটিভদেরও টার্গেটে রাখে এই ইজরেয়েলি সফ্টওয়্যার। উল্লেখ্য, স্পার্টফোন সহজেই পেগাসাসের কবলে পড়ে গুপ্তচরবৃত্তির শিকার হয়ে পড়ছে বলে জানা যায়। এই স্মার্টফোনের দৌলতে ছবি ,মেসেজ লোকেশন ট্র্যাক করে বহু তথ্য হাতিয়ে নেওয়া যায় এই সফ্টওয়্যার দিয়ে বলে জানা যায়। এদিকে মার্কিন কমার্স ডিপার্টমেন্টের তরফে জানানো হয়েছে, দমন পীড়নের একটি হাতিয়ার হিসাবে এই সফ্টওয়্যারকে ব্যবহার করে থাকেন বহু জনই। এক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বহু ভিন দেশের সরকারের কথা উল্লেখ করেছে নিজের রিপোর্টে।
উল্লেখ্য, শীতকালীন অধিবেশেনর শুরুর আগেই পেগাসাস রিপোর্ট সামনে আসে। সেখানে আড়িপাতা ও গুপ্তচরবৃত্তি নিয়ে একাধিক বিস্ফোরক বক্তব্য় তুলে ধরা হয়। রিপোর্টের ভিত্তিতে কার্যত ভারতীয় সংসদের দুই কক্ষই তোলপাড় হয়। বিরোধীরা কোণঠাসা করতে থাকে কেন্দ্রকে। অই ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের সাংসদরা কার্যত বিরোধিতায় গর্জে ওঠেন। কেন্দ্রের তরফে এদিকে দবি করা হয় যে গোটা বিষয়টিই ভিত্তিহীন। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ বিরোধীদের একটি ষড়যব্ত্র বলেও বার্তা দেয় মোদী সরকার। এদিকে, ইস্যু আপাতত সুপ্রিম কোর্টের অধীনে রয়েছে। তবে আমেরিকার পদক্ষেপর পর ইজরায়েলি সংস্থা এনসএওর তরফে কোনও বার্তা আসেনি। আগামী দিনে এই ইস্যুচে মার্কিন পদক্ষেপর পর তার প্রভাব ভারতের রাজনীতিতে পড়বে কি না তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা। যেখানে ২০২২ সালে দেশের একাধিক রাজ্যে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। এদিকে পেগাসাস ইস্যুতে কার্যত ভারতীয় রাজনীতি শীতকালীন অধিবেশনে সরব হতেই একাধিক তৃণমূল কংগ্রেস সাসংসদ সাসপেন্ড হন নিয়মানুবর্তিতা ইস্যুতে। সংসদকক্ষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ভাষণের সময় তাঁর বক্তব্যের খসরা ছিঁড়ে দেওয়া নিয়ে শান্তনু সেন ছিলেন সেই সময়ে ফোকাসে।