২৬ ঘণ্টা পার, নদিয়ার জালালখালি হল্টে এখনও অবরোধে, বিপর্যস্ত শিয়ালদহ-লালগোলা শাখার ট্রেন চলাচল
২৬ ঘণ্টা পার হয়ে গিয়েছে। এখনও নদিয়ার জালালখালি হল্ট স্টেশনে অবরোধ জারি রেখেছেন বিক্ষোভকারীরা। যার জেরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে শিয়ালদহ-লালগোলা শাখার ট্রেন চলাচল। একাধিক স্টেশনে আটকে রয়েছে ট্রেন। সমস্যায় পড়েছেন নিত্যযাত্রীরাও। সব ট্রেনের স্টপেজ জালালখালি হল্টে করার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। দাবি মানা না হলে অবরোধ তোলা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

সব ট্রেনের স্টপেজ দিতে হবে জালালখািল হল্টে। এই দাবিতে গতকাল থেকে রেল অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন স্থানীয়বাসিন্দারা। সপ্তাহের কর্মব্যস্ত দিনে হঠাৎ করে এই অবরোধের জেরে সমস্যায় পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। প্রায় ৬ মাস পর চালু হয়েছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। তার মধ্যে এই পরিস্থিতিতে প্রবল সংকট তৈরি হয়েছে। অবরোধের জেরে সকাল থেকেই কৃষ্ণনগর শিয়ালদাগামী কোন ট্রেনে যাতায়াত করেনি। বিক্ষোভকারীদের দাবি ,যতক্ষণ না ডিআরএম এসে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন ততক্ষণ তাঁরা অবরোধ চালিয়ে যাবেন। গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত চলেছে বিক্ষোভ। আজ আবার ভোর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে অবরোধ।
অবরোধকারীদের দাবি, পূর্বরেলের শিয়ালদহ শাখার এটি বৃহত্তম মেন লাইন। শিয়ালদহ থেকে লালগোলা যাওয়ার প্রধান শাখা। তাই সব লোকাল, প্যাসেঞ্জার সহ লালগোলাগামী সব ট্রেন জালালখালি হল্ট স্টেশনে দাঁড় করাতে হবে। এই নিয়ে বার বার রেলে অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। সেকারণেই তারা অবরোধে নামতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে গত ৬ মাস বন্ধ থাকার পর রবিবার থেকে লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হয়েছে রাজ্যে। করোনা বিধি মেনে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচলের অনুমতি দিলেও প্রথম দিন থেকেই বিভিন্ন রুটে প্রবল ভিড় দেখা গিয়েছে। মাস্ক না নিয়েই অনেকে ট্রেনে উঠে পড়ছেন। গাদাগাদি ভিড়ে ঠাসাঠাসি করে যাচ্ছেন সকলে। এতে করোনা সংক্রমণ ফের বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন সকলে।