কালীপুজোয় ছাড় মিললেও জগদ্ধাত্রী পুজোয় ঝুঁকি নিচ্ছে না প্রশাসন, বহাল থাকছে নাইট কার্ফু
জগদ্ধাত্রী পুজোয় নাইট কার্ফু বহাল থাকছে। কালীপুজো, ছট পুজোর মত ছাড় থাকছে না। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য দুর্গাপুজোর চারদিন নাইট কার্ফু তুলে নেওয়া হয়েছিল। তারপরেই হাজার হাজার মানুষ সারারাত ঠাকুর দেখেছেন রাস্তায় বেরিয়ে। তারপরেই রাজ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছিল।

জগদ্ধাত্রী পুজোয় বহাল নাইট কার্ফু
দুর্গাপুজো কালীপুজোতে হলেও জগদ্ধাত্রী পুজোয় কিন্তু নাইট কার্ফু শিথিল হচ্ছে না। হুগলি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া নির্দেশিকা জানানো হয়েছে জগদ্ধাত্রী পুজোয় বহাল থাকবে নাইট কার্ফু। জগদ্ধাত্রী পুজোর চারদিনই বহাল থাকবে নাইট কার্ফু। এবং কড়া হাতে সেটি মোকাবিলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। অর্থাৎ রাত ১১টার পরে আর কেউ বাড়ির বাইরে থাকতে পারবেন না। অর্থাৎ রাতভর ঠাকুর দেখার আর কোনও সুযোগ থাকল না জগদ্ধাত্রী পুজোয়।

দুর্গাপুজো ও কালীপুজোয় ছাড়
দুর্গাপুজোর চারদিন নাইট কার্ফুতে ছাড় দিয়েছিল রাজ্য সরকার। তারপর আবার কালীপুজো এবং ছটপুজোতেও নাইট কার্ফু শিথিল করা হয়েছে। তারপরেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারকে সতর্ক করে চিঠি পাঠানো হয়। কারণ দুর্গাপুজোয় নাইট কার্ফুতে ছাড় ঘোষণা করার পর রাজ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটাই বেড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে একাধিক জায়গায় কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছিল। তাতে হুগলি জেলাতেও কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছিল। সেকারণেই হয়তো জগদ্ধাত্রী পুজোয় নাইট কার্ফু শিথিল করার আর কোনও ঝুঁকি নেয়নি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।

কবে কবে পুজো
আগামী ৯ নভেম্বর থেকে জগদ্ধাত্রী পুজো। সেদিন পঞ্চমী। তারপর থেকে ১৫ নভেম্বর অর্থাৎ একাদশী পর্যন্ত চন্দননগরে উৎসবের আমেজ থাকে। বিশেষ আকর্ষণ বিসর্জনকে ঘিরেই হয়। চন্দননগরে শোভাযাত্রা করে জগদ্ধাত্রী ঠাকুর বিসর্জন করা হয়।। দশমী এবং একাদশী এই দু'দিনই বিসর্জন হওয়ার কথা। এই দুইদিন বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ জগদ্ধাত্রী ঠাকুর দেখায় যেমন ভিড় হয় তার থেকে বেশি ভিড় হয় বিসর্জন দেখার ভিড় বেশি হয়। সেকারণে এই দুই দিন বেশি নজরদারি শুরু করার কথা বলা হয়েছে।

লোকাল ট্রেন চালু
এদিকে আবার লোকাল ট্রেম পরিষেবা চালু হয়ে গিয়েছে। যদিও লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হলেও ৫০ শতাংশ যাত্রীদের নিয়ে সফর করতে বলা হয়েছে। কিন্তু লোকাল ট্রেন চালুর প্রথম দিন থেকেই ঠাসাঠাসি ভিড়। আদের মতই ভিড় দেখা যাচ্ছে লোকাল ট্রেনে। সেকারণেই আরও বেশি জগদ্ধাত্রী পুজোয় নাইট কার্ফুতে ছাড় না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হুগলি জেলা প্রশাসন।