দুর্গাপুজোর বাড়বাড়ন্তে কালীপুজোর মন্ডপে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা হাইকোর্টের! বুর্জ খলিফার নজির টানলেন বিচারপতি
কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো এবং কার্তিক পুজোতে দর্শকশূন্য থাকবে মন্ডপ। জোড়া ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলেই মন্ডপের ভেতরে প্রচুর মানুষ ভিড় করতে পারবেন না। নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। শুধু তাই নয়, আজ বুধবার মামলার শুনানিতে কার্যত রাজ্যের সমালোচনা করে কলকাতা হাইকোর্ট।

মামলা শুনানিতে আদালতে পর্যবেক্ষণ, শবরিমালা, জলিকাত্তুর , দুর্গাপূজার মত উৎসবে মানুষকে আটকানো মুশকিল। স্বভূমির বুর্জ খলিফা প্যান্ডেলের কারণে বিচারপতিদের গাড়িও দু - তিন ঘন্টার জন্য আটকে পড়েছিল। আমার অন্তত তিনজন সহ্কর্মীর গাড়ি আটকে গিয়েছিল বলেও মন্তব্য মন্তব্য বিচারপতি রাজশেখর মান্থার।
শুধু তাই নয়, এই প্রসঙ্গে সবথেকে বড় দুর্গার উদাহারন তোলে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বলেন,বেশ কয়েকবছর আগে দেশপ্রিয় পার্কের ক্ষেত্রে এই জিনিস হয়েছিল। রাজ্যে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। দুর্গা পুজোর পর থেকেই সংক্রমনের গ্রাফ ক্রমশ উপরের দিকে। যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে চিকিৎসকদের মধ্যে। আর সেখানে দাঁড়িয়ে আগামী পুজোগুলি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়।
মামলায় আবেদনকারী জানান, শ্রীভূমির পুজোয় প্রমাণ হয় আদালতের নির্দেশ মানা সম্ভব হয় নি। উল্লেখ্য এই বছর শ্রীভূমি বুর্জ খালিফা করে দর্শকদের চমকে দেয়। কয়েকশ মানুষের ভিড় হয়। পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে গেলে রাতারাতি পুজোতে ঢোকা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এদিন মামলা শুনানিতে এই বিষয়টি উঠে আসে। যদিও মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, প্যান্ডেলে নো এন্ট্রি থাকছে।
কিন্তু প্যান্ডেলের বাইরে ভিড় সামলানো সম্ভব হচ্ছে না এটা ঠিক। তবে আমরা সব পুজোর ক্ষেত্রেই মেনে চলার চেষ্টা করছি। এদিন মামলার শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টের অবকাশকালীন বিচারপতি রাজশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চে। দীর্ঘ মামলার শুনানি চলে। মামলা শুনানিতে কার্যত রাজ্যের সমালোচনা করতেও শোনা যায় আদালতকে।
আদালত পর্যবেক্ষণে জানায়, শুধু মাস্ক বা ডাবল ভ্যাকসিন হলেই ছাড়পত্র হতে পারে না। মামলা শুনানিতে অ্যাডভোকেট জেনারেল আরও বলেন, ডবল টিকার শংসাপত্র ভেরিফাই করা খুব কঠিন। শুধু তাই নয় , প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেওয়া শংসাপত্র এখন পোটালে সহজেই পাওয়া যায় বলে উল্লেখ অ্যাডভোকেট জেনারেলে।
দীর্ঘ শুনানি শেষে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ে নির্দেশই বহাল রাখে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ। শুধু তাই নয়, রাজ্যকে Awareness ক্যাম্প করতে হবে। সংবাদমাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার করতেও বলা হয়েছে।