মহুয়া মৈত্রকে সতর্ক করল নির্বাচন কমিশন! বিজেপি সাংসদকে 'অশিক্ষিত' বলে তীব্র আক্রমণ তৃণমূল সাংসদের
সকাল থেকে ভোট গণনা শুরু হতেই বিতর্ক। গণনা কেন্দ্রের ভিতরে ঢুকে যাওয়ার অভিযোগ সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়। রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের অভিযোগ, কেন্দ্রে ঢুকে গণনাতে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা তৃণমূল সাংসদের।

পুরো বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের নজরে নিয়ে আসতেই নড়েচড়ে বসে কমিশনও। আর এরপরেই মহুয়া মৈত্রকে সতর্ক করে নির্বাচন কমিশন। যদিও সাংসদেরর দাবি, তিনি কোনও অন্যায় করেননি।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার সকালে। এদিন সকালে বাংলার চার কেন্দ্রে ভোট গননা চলছে। গণনা চলছে খড়দা, দিনহাটা, গোসাবা সহ শান্তিপুর। তবে তখনও গণনা শুরু হয়নি। আর সেই সময়েই গণনা কেন্দ্রের মধ্যে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র ঢুকে পড়ে বলে অভিযোগ।
আর স্ট্রোং রুমের সামনেও তাঁকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় বলে দাবি। সঙ্গে সঙ্গেই রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার, মহুয়ার বিরুদ্ধে গণনায় প্রভাব খাটানোর চেষ্টার অভিযোগ করেন। তিনি নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি জানান।
অভিযোগ পাওয়ার পরেই বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নেয় নির্বাচন কমিশন। আর এরপরেই বিষয়টি দেখার জন্যে রিটার্নিং অফিসারকে বলা হয়। জানা যায়, এই নির্দেশ পাওয়ার পরেই তৃণমূল সাংসদকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন রিটার্নিং অফিসার। ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে, সে কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি। পাশাপাশি কমিশনের তরফেও মহুয়া মৈত্রকে সতর্ক করা হয় নির্বাচন কমিশনের তরফে।
যদিও এই বিতর্কের মধ্যে তৃণমূল সাংসদের যুক্তি আমি কোনও অন্যায় করিনি। এই বিষয়ে পাল্টা কমিশনকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন মহুয়া। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়াতে এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন। মহুয়া মৈত্রের বক্তব্য, নিয়ম অনুযায়ী যদি সাংসদ, বিধায়ক সরকারি নিরাপত্তা রক্ষী নেন তবে তিনি কাউন্টিং এজেন্ট হতে পারেন না। এক্ষেত্রে তাঁর কোনও নিরাপত্তারক্ষী নেই বলেই দাবি সাংসদের।
শুধু তাই নয়, কমিশনের নিয়ম মেনে এই তিনি গণনা কেন্দ্রের ভিতড়ে গিয়েছেন বলেও দাবি তাঁর। শুধু কমিশনকে আক্রমণ করা নয়, বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারও অশিক্ষিত বলে তীব্র তোপ মহুয়ার। তাঁর বক্তব্য, এসব অশিক্ষিত বক্তব্যের জবাব দেওয়ার আমার কোনও দরকার নেই। তবুও তিনি বলেন, উনি চারজন বন্দুধারী নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে ঘোরেন। যেটা আমি করি না। তাই আইন তা ওনার জন্য প্রযোজন্য।
উল্লেখ্য শান্তিপুর উপনির্বাচনের ভোট গণনা চলছে রানাঘাট কলেজে। সকাল থেকেই টাফ ফাইট। যদিও শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ওই কেন্দ্রে ব্যাপক ভোটে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। যদিও গত নির্বাচনে ওই কেন্দ্রে জিতেছিল বিজেপি।