হিমাচলে মাণ্ডি হাতছাড়া হল বিজেপির, বাকি ৩ কেন্দ্রে কংগ্রেসের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই
২০২২ সালের ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এক প্রকার অ্যাসিড টেস্ট এই উপনির্বাচন। পশ্চিমবঙ্গের চার কেন্দ্রেই হেরেছে বিজেিপ। হিমাচল প্রদেশেও তেমন অবস্থা ভাল নেই বিজেপির। মান্ডির মত গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হাতছাড়া হয়েছে। বািক তিন কেন্দ্রেও কংগ্রেসের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। সসেখানেও ুব একটা সুবিধাজনক অবস্থানে নেই তারা। ফতেপুর, আরকি, জুব্বাই-কোথাকিতে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।

মান্ডিতে কংগ্রেসের জয়
হিমাচল প্রদেশের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে মান্ডি। সেখানে কংগ্রেস প্রার্থী করেছিল ৬ বারের কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত বীরভদ্র সিংয়ের স্ত্রী প্রতিভা সিংকে। তার সামনে টিকতে পারেননি বিজেপি প্রার্থী। বিজেপি এই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছিল কার্গিন ওয়ার হিরো ব্রিগেডিয়ার কুশল চাঁদ ঠাকুরকে। করোনা সংক্রমণের পর মারা গিয়েছিলেন বীরভদ্র সিং। এই প্রথম তাঁর পরিবারের কেউ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেন। তাই কংগ্রেসের কাছেও ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। মান্ডি কেন্দ্রটি লাহুল-স্পিতিতে অবস্থিত। হিমাচলের সবচেয়ে উঁচু কেন্দ্র বলা হয়ে থাকে। তার থেকেও বড় কথা মাণ্ডি হিমাচল প্রদেশের নিজের শহর। এখান থেকেই বড় হয়েছেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয় রাম ঠাকুর। কাজেই এই েকন্দ্রে বিজেপির জয় হওয়া উচিত ছিল।

তিন কেন্দ্রে জয়ের পথে কংগ্রেস
মান্ডিতে জয় তো চলে এসেছে। এবার বাকি আরও তিন কেন্দ্র। ফতেপুর, আরকি, জব্বাই-কোথাকি কেন্দ্রে জোরদার লড়াই চলছে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে। প্রথম দিকে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও পরে পরে সেটা কংগ্রেসের দিকেই পাল্লা ভারী হতে শুরু করেছে। জব্বাল কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী রোহিত ঠাকুর তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিজেপির চেতন সিংয়ের থেকে ২৪৮ ভোটে এগিয়ে গিয়েছিলেন প্রথম দুই রাউন্ডের পরেও। ফতেপুর কেন্দ্রেও কংগ্রেস প্রার্থী ভবানী সিং হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী বলদেব ঠাকুরের থেকে। আরকি কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী সঞ্জয় ৩০০০ বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী রতন সিংয়ের থেকে।

পশ্চিমবঙ্গেও ৪ কেন্দ্রে বিজেপির হার
পশ্চিমবঙ্গেও ৪ কেন্দ্রের উপনির্বাচনে হার হয়েছে বিজেপি। যাকে বলে সবুজ ঝড়ে উড়ে গিয়েছে বিজেপি শিবির। চার কেন্দ্রেই বিজেপি প্রার্থীদের জামানত জব্দ হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই জয়ের জন্য প্রার্থী এবং দলীয় কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং বলেছেন মানুষ উন্নয়নকে জিতিয়েছে। ষড়যন্ত্রকে হারতে হয়েছে উন্নয়নের কাছে। বিজেপির ষড়যন্ত্র মানুষ বুঝে গিয়েছে সেকারণেই বিজেপি প্রার্থীরা জামানত জব্দ হয়েছেন।

২০২৪-র আগে অ্যাসিড টেস্ট
২০২৪-র লোকসভা ভোটের আগে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। উত্তর প্রদেশ, পাঞ্জাব, গোয়া তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। উত্তর প্রদেশ ও গোয়ায় ক্ষমতা ধরে রাখা বিজেপির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আর পাঞ্জাবে ক্ষমতা দখল বড় টার্গেট। উত্তর প্রদেশ এবং পাঞ্জাবে বিজেপির ভোট ব্যাঙ্কে বড় ধাক্কা দিতে পারে কৃষিবিল। ইতিমধ্যেই কৃষক সংগঠনের পক্ষ থেকে মোদী সরকারকে চরম সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। তাতে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন কৃষকনেতারা। এই সময়ের মধ্যে কৃষি আইন প্রত্যাহার না করলে চরম পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।