কংগ্রেসকে মোক্ষম ধাক্কা বিজেপির! অসমে চারটি আসন ছিনিয়ে নিয়ে মাত হিমন্ত বিশ্বশর্মার
বাংলা-সহ মোট ১৪ রাজ্যে উপনির্বাচন হয়েছিল। ২০২২-এ পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ১৪টি রাজ্যজুড়ে এই নির্বাচন থেকে প্রতিটি রাজনৈতিক একটা ইঙ্গিত দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। সেইমতো যে দল যে রাজ্যে শক্তিশালী, সেই দল তার মতো করে ফলাফলকে করার চেষ্টা করেছে। উত্তর-পূর্বের রাজ্য অসমে কংগ্রকে ফের একবার ধাক্কা দিয়ে বিজেপি তাঁদের অগ্রগতি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।

অসম মোট পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন ছিল। পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রেই বিজেপি ও তাদের সহযোগী দল দাপট দেখিয়েছে। প্রাথমিক ট্রেন্ডে কংগ্রেসের ভালো ফল করার আশা জাগালেও যত সময় গড়িয়েছে ততই পিছিয়ে পড়েছে। বিজেপি ও তাদের সহযোগী দল ইউপিপিএল বা ইউনাইটেড পিপলস পার্টি লিবারেল ব্যবধান বাড়িয়ে জয় হাসিল করে নিয়েছে।
অসমের যে পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচন ছিল, তা হল- গোসাইগাঁ, ভবানীপুর, তমালপুর, মারিয়ানি, থোওড়া। তার মধ্যে ভবানীপুর, মারিয়ানি ও থোওড়া কেন্দ্র দখল করেছে বিজেপি। আর বিজেপির শরিক দল ইউপিপিএল দখল করেছে গোসাইগাওঁ ও তমালপুর কেন্দ্রটি। তমালপুরে সবথেকে বেশি ভোটে জিতেছেন ইউপিপিএল প্রার্থী জোলেন দাইমারি। তিনি নির্দল প্রার্থী গণেশ কাছারিকে হারিয়েছেন ৫৭০৫৯ ভোটে। আর গোসাইগাঁওয়ে ইউপিপিএল প্রার্থী জিরণ বসুমাতারি জয়ী হয়েছেন। তিনি ২৮২৫২ ভোটে কংগ্রেসের জোয়েল টুডুকে পরাজিত করেছেন।
ভবানীপুরে বিজেপির ফণীধর তালুকদার হারিয়েছেন কংগ্রেসের শৈলেন্দ্রনাথ দাসকে। ২৫ হাজার ৬৪১ ভোটে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। মারিয়ানিতে বিজেপি প্রার্থী রূপজ্যোতি কুর্মি ৪০ হাজারেরও বেশি ভোটের হারিয়েছেন কংগ্রেসের লুহিত কানোয়ারকে। আর থোওরা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী বরগোহেন ৩০ হাজারেরও বেশি ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছেন নির্দল প্রার্থী ধাইজ্যা কনোয়ারকে।
অসমে পাঁচটি আসনই বিজেপির দিকে গিয়েছে। একটি আসন করায়ত্ত করতে পারেনি কংগ্রেস। ফলে কামব্যাকের আশা জাগিয়েও তারা ব্যর্থ হয়েছে। যে পাঁচটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন হল তার মধ্যে একটি কেন্দ্র ছিল বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র। বাকি চারটি কেন্দ্রে বিজয়ী হয়েছিল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন মহাজোট প্রার্থীরা।

উপনির্বাচনের ফলে দখা যাচ্ছে কংগ্রেসের পক্ষে চারটি আসন হারাতে হল। বিজেপি তাদের একটি আসন দখলে রাখার পাশাপশি চারটি কেন্র্স দখল করল। চারটির মধ্যে তিনটি কেন্দ্রে কংগ্রেসের বিধায়করা দলবদল করে বিজেপির প্রার্থী হয়ে জয় হাসিল করেছে। অর্থাৎ সেই একই খেলা দলবদলরে খেলায় মাত দিয়েছে বিজেপি।