কাবুল হাসপাতালের সামনে একের পর এক জোরাল বিস্ফোরণ, চলল গুলি! এখনও পর্যন্ত মৃত ২০
একের পর এক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে কালো ধোঁয়াতে ঢেকে যায় সে দেশের আকাশ। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, বিস্ফোরণের এই ঘটনাতে ৫০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে বলে খবর।

তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর। তাঁদের স্থানীয় একাধিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
তবে এই ঘটনার পর স্থানীয় একাধিক সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, বিস্ফোরণের পরেই ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গিয়েছে। তবে কে কাকে টার্গেট করে এই গোলাগুলি চালাচ্ছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়।
তবে ঘটনার পরেই সে দেশে নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। গত মাসখানেক আগেই কাবুল ছেড়েছে মার্কিন সেনাবাহিনী। প্রায় ২০ বছরের বেশি সময় ধরে আফগানিস্তানের মাটিতে রাজ করেছে মার্কিন বাহিনী। কিন্তু সে দেশ ছেড়ে পাকাপাকি ভাবে মার্কিন বাহিনী ছেড়ে যেতেই ফের ফিরছে সন্ত্রাস।
গত কয়েকমাসে একাধিকবার বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে আফগানিস্তানের মাটি। তবে এই ঘটনার পিছণে কে বা কারা জড়িত তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে গত কয়েকমাসে ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন তাঁদের পায়ের তলার মাটি শক্ত করেছে। কাবুল বিস্ফোরণ থেকে একাধিক মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনার পিছনে আইএসের যোগ পাওয়া গিয়েছে।
ফলে এই ঘটনার পিছনেও ইসলামিক স্টেট থাকতে পারে বলে অনুমান। যদিও কোনও সংগঠনের তরফেই এই ঘটনার দায় স্বীকার করা হয়নি। তবে এই বিস্ফরন আত্মঘাতী বলে অনুমান। সে দেশের সবথেকে হাসপাতালের মধ্যে এই বিস্ফোরণ ঘটনা হয়েছে। ফলে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রীতিমত ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়।
এই ঘটনার প্রায় কয়েক ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত তালিবানের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। উল্লেখ্য, গত কয়েকমাস আগেই কুন্দুজ প্রদেশের একটি ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মসজিদটি আসলে শিয়া মসজিদ বলেই পরিচিত। ওই অঞ্চলের বিশাল সংখ্যায় শিয়ারা শুক্রবার মসজিদে চলা বিশেষ প্রার্থনাতে অংশ নেয়।
আর সেই সময়কেআত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্যে বেছে নেওয়া হয়। এই ঘটনায় প্রায় ১০০ জনের মৃত্যু হয়। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের এক মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেই সময় রায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়। আর সেই ঘটনার মাসখানেক কাটতে না কাটতেই ফের একবার বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল কাবুল।