সনাতনী ধ্বজাতেই বিশ্বাস! রাজনীতি থেকে বিশ্রাম নেওয়ার আগে ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা জানালেন শুভেন্দু অধিকারী
বাংলাদেশের ঘটনাবলী নিয়ে কর্মসূচিতে ব্যস্ত বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)। নিজের কেন্দ্র নন্দীগ্রামে হওয়া কর্মসূচিতে তিনি বলেন, সনাতনের ধ্বজা সর্বত্র তুলেই তিনি রাজনীতি থেকে বিশ্রাম নেবেন। এরপর তিনি কলকাতায় এসে বিজেপি (bjp) বিধায়কদের নিয়ে বিধানসভা (assembly) চত্ত্বরে মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদে অংশ নেন। তিনি বলেছেন, এই প্রতিবাদ চলছে, চলবে।

জাহাজ বাড়ির আত্মীয় ইকবাল
শুভেন্দু অধিকারী এদিন বেলার দিকে নিজের বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে বাংলাদেশের ঘটনাবলী নিয়ে এক কর্মসূচিতে অংশ নেন। সেখানে তিনি বলেন, কুমিল্লার মণ্ডপে কোরান রেখেছিল ইকবাল। তাঁকে সাহায্য করেছিল ইকরাম, হুমায়ুন, ফৈয়াজ। এরপরেই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, নাম বললেই তো বুঝতে পারছেন, জাহাজ বাড়ির আত্মীয় এরা। প্রসঙ্গত জাহাজ বাড়ি বলতে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলে নেতা শেখ সুফিয়ানকে বোঝাতে চেয়েছেন।

বিশ্বের হিন্দু এক হও
শুভেন্দু অধিকারী এদিন নন্দীগ্রামের মঞ্চ থেকে বিশ্বের হিন্দুদের এক হওয়ার ডাক দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তাঁদের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ভারতের সনাতনী সংস্কৃতিকে নষ্ট হতে দেবেন না। পশ্চিমবঙ্গের সরকারকে তোষণবাজ সরকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি। নন্দীগ্রামের যেসব মন্দিরে মাইক নেই সেইসব মন্দিরে মাইক সেট দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

উৎসবকালে বিধানসভা ডাকা নিয়ে কটাক্ষ
শুভেন্দু অধিকারী এদিন উৎসবের সময়ে বিধানসভার অধিবেশন ডাকা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, যে সিপিএম ধর্মকে আফিম বলত, তারাই শুধু নয়, বিধানসভা তৈরি হওয়ার সময় থেকেই কখনও উৎসবের সময় অধিবেশন বসেনি। কিন্তু এবার তা করা হয়েছে। তাই তারা অধিবেশ বয়কটের ডাক না দিলেও, উৎসবের সময়ে যে যার নিজের এলাকায় থাকবেন এবং ধর্ম পালন করবেন। উৎসব শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিজেপির কোনও সদস্য বিধানসভা হাজির হবেন না, জানিয়েছেন তিনি।

কেউ আটকাতে পারবে না
নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, তাঁকে কেউ আটকাতে পারবে না। অনেক বড় শক্তিকে তিনি ফেলে দিয়েছেন। সিপিএমর শক্তি যখন মধ্য গগনে তখন তিনি তমলুক থেকে লক্ষ্মণ শেঠকে হারিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করতে গিয়ে তিনি বলেছেন, যখন খালা ২১৩ টি আসন পাচ্ছেন, তখন নন্দীগ্রামে পরাজিত হচ্ছেন। তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারী অনেক শক্ত। যদি মিথ্যা মামলায় ভয় পেতেন, তাহলে ২০০৭ সালেই গুটিয়ে যেতেন। স্বামী বিবেকানন্দের কথা তুলে ধরে তিনি বলেছেন নিজের ধর্মের প্রতি তিনি আস্থাশীল এবং অপরের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি সনাতনের ধ্বজা পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্র তুলে তবেই রাজনীতি থেকে বিশ্রাম নেবেন।