বিরাটরা দাঁড়াতেই পারলেন না, বিধ্বংসী নিউজিল্যান্ডের সামনে কত রানের টার্গেট ভারতের
ডু অর ডাই ম্যাচ। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-২০ বিশ্বকাপে কার্যত কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে নেমেছিল বিরাটের ভারত। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পর্যুদস্ত হওয়ার পর নিউজিল্যান্ড ম্যাচে কিছু করে দেখানোর তাগিদ দেখা গেল না কোনও ভারতীয় ক্রিকেটারের মধ্যে। শুধু আয়ারাম-গয়ারাম করে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খারাপ ক্রিকেটের প্রদর্শনী বিরাটদের। নিউজিল্যান্ডের আগুনে বোলিংয়ের সামনে ১১০ রানেই থেমে যায় ভারত। অর্থাৎ ১১১ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নামবেন কিউইরা।

কার্যত মরণ-বাঁচন ম্যাচে ভারতকে সঙ্গ দেয়নি টস ভাগ্য। ফের একবার টসে হারেন বিরাট। নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক ব্যাট করতে পাঠান ভারতকে। ভারত এদিন লোকেশ রাহুল ও ঈশান কিষাণকে ওপেনিংয়ে নামায়। কিন্তু কোনও সুবিধাই তুলতে পারেনি এই পরিবর্তনের। ৮ বলে মাত্র চার রান করেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন ঈশান।
তিন নম্বরে নামেন রোহিত শর্মা। লোকেশ রাহুল ও রোহিত শর্মা চেষ্টা করলেও শেষরক্ষা হয়নি। লোকেশ রাহুল (১৬ বলে ১৮) ও রোহিত শর্মা (১৪ বলে ১৪ রানে) ফেরেন দলগত ৪০ রানের মধ্যেই। তারপর কোহলি বা পন্থরাও ভরসা দিতে ব্যর্থ। কোহলি ১৭ বলে মতা্র ৯ রান করেন। আর পন্থ করেন ১৯ বলে ১২। এরপর হার্দিকও ব্যর্থ। অনেক চেষ্টায় ২৪ বলে ২৩ রান করে তিনি ফেরেন প্যাভিলিয়নে।
শেষ ৮ বলে একটু চালিয়ে খেলে জাদেজা ভারতের রান ১০০-য় পৌঁছে দেন। শেষ ৮ বলে ১৬ রান করেন জাদেজা। ১৯ বলে ২৬ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। এই ইনিংসে বলরা মতো রান করেননি কেউই। ভারতের ব্যাটিং মুখ থুবড়ে পড়ল এদিন। পাকিস্তান ম্যাচে যে ধাক্কা খেয়েছে ভারত, তা যে তারা কাটিয়ে উঠতে পারেনি লম্বা বিরতিতেও, তা নিউজিল্যান্ড ম্যাচে লজ্জার ব্যাটিং পারফরম্যান্স তার প্রমাণ।
এদিন দলে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন করা হয়েছিল। হার্দিক পাণ্ডিয়াকে রেখেই দল সাজিয়েছিলের বিরাটরা। সূর্যকুমরা যাদবের জায়গায় আনা হয়েছিল ঈশান কিষাণকে। আর ভুবনেশ্বর কুমারের জায়গায় খেলানো হয় শার্দুল ঠাকুরকে। তবে দুটি পরিবর্তনেও হাল ফেরেনি ভারতীয় ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সের।
এদিন কিউয়িরা অসাধারণ বোলিং পারফরম্যান্স তুলে ধরেন। কোনও ভারতীয় ব্যাটসম্যানকে মাথা তুলে দাঁড়াতে দেননি। বোল্ট বা সাউদি থেকে শুরু করে স্পিনার স্যান্টনার বা সোধির বোলিংয়ে কুপোকাত ভারতীয় ব্যাটিং। তথাকথিত ভারতীয় ব্যাটিংয়ের কঙ্কালসার অবস্থা বের করে দিলেন কিউয়ি বোলাররা। বোল্ট চার ওভারে ২০ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নেন। সোধি চার ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ২টি উইকেট ঝুলিতে পোরেন। সাউদি ও মিলনে একটি করে উইকেট পান। আর উইকেট না পেলেও কৃপণ বোলিং করে ভারতকে আটকে দেন স্যান্টনার। তিনি মাত্র চার ওভারে ১৫ রান দেন।