আইপিএলের মেগা নিলাম জানুয়ারিতে, অন্তত পাঁচটি দলের অধিনায়ক বদলের সম্ভাবনা
আইপিএলে আগামী মরশুম থেকে অংশ নেবে ১০টি দল। বাড়ছে ম্যাচের সংখ্যা। ২০১১ সালের মডেলে হবে আইপিএলের ম্যাচ। দুটি গ্রুপে ভাগ করা হবে পাঁচটি করে দলকে। পঞ্চদশ আইপিএল শুরুর আগে হবে মেগা নিলাম। বিসিসিআই সূত্রে খবর, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই সেই মেগা নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।

ইতিমধ্যেই বিসিসিআই ও আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল কর্তারা বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে রিটেনশনের নিয়ম, নিলামে কত টাকা খরচ করা যাবে, কতদিনের মধ্যে ক্রিকেটারদের ধরে রাখার বিষয়টি জানাতে হবে, এই সব বিষয়েই ঘরোয়াভাবে কথাবার্তা বলেছে। মনে করা হচ্ছে, সাত-আটদিনের মধ্যেই এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে দেওয়া হবে বিসিসিআইয়ের তরফে। জানা গিয়েছে, পুরানো ৮টি দল কোন ক্রিকেটারদের ধরে রাখবে তা ডিসেম্বরের মধ্যে জানাতে হবে। চূড়ান্ত সময়সীমা ধার্য হতে পারে ৩ ডিসেম্বর।

যেহেতু আমেদাবাদ ও লখনউ আগামী বছর আইপিএলে অংশ নেবে তাই সেই ফ্র্যাঞ্চাইজিরাও যাতে দল গঠনে সমস্যায় না পড়ে সেজন্য তিনজন করে ক্রিকেটার বেছে নেওয়ার অপশন থাকবে এই দল দুটির জন্য। এই পদ্ধতির নাম দেওয়া হচ্ছে থ্রি ফ্রি পিকস! যেহেতু ৮টি দল চারজন করে ক্রিকেটারকে ধরে রাখবে তাই মেগা নিলামের আগেই অকশন থেকে ওই দুটি নতুন দলকে তিনজন করে ক্রিকেটার বেছে নেওয়ার অনুমতি দেওয়ার পথেই হাঁটতে চলেছে বিসিসিআই। তবে এখনও সবটাই রয়েছে আলোচনার স্তরে। রাইট টু ম্যাচ কার্ড নিয়েও দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বিসিসিআই সূত্রে খবর, এ বছর দল গঠনে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজির খরচের সীমা বাড়িয়ে ৯৫ কোটি টাকা করা হতে পারে। অন্তত ৯০ কোটি তো হচ্ছেই। যে ক্রিকেটারদের ধরে রাখা হবে বা ড্রাফট পিকের মাধ্যমে নতুন দুটি দল যে ক্রিকেটারদের নেবে, তাঁদের অর্থও ওই অকশন পার্স থেকেই খরচ করতে হবে। আরও জানা গিয়েছে, আটটি দল যে ক্রিকেটারদের রেখে দেবে তাঁদের বাইরে থেকেই তিনজন করে ক্রিকেটারদের বেছে নিতে পারবে দুটি নতুন দল। রিটেনশনের নিয়ম কী হবে তা নিয়ে জল্পনা চলছে। যদি তিনজন ক্রিকেটার রাখার অনুমতি দেওয়া হয় তাহলে তাঁদের মধ্যে একজন বিদেশিকে রাখতে হবে। আবার যদি চারজন ক্রিকেটার রাখা যায় তাহলে দুই বিদেশিকে রাখার শর্ত দেওয়া হবে। তিনজন ক্রিকেটারকে রেখে রাইট টু ম্যাচ কার্ড ব্যবহারের সুযোগও পেতে পারে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি। তবে পুরানো ৮টি দলের মধ্যে অন্তত পাঁচটি দলে অধিনায়ক বদলেরও সম্ভাবনা রয়েছে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও দিল্লি ক্যাপিটালস অধিনায়ক বদলের পথে হাঁটবে না। চেন্নাই সুপার কিংসও চাইছে আগামী মরশুমেও মহেন্দ্র সিং ধোনিই অধিনায়ক থাকুন। কলকাতা নাইট রাইডার্স আইপিএল ফাইনালে উঠলেও একেবারেই ফর্মে ছিলেন না অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান। ফলে নাইটরাও কোনও ভারতীয় অধিনায়কের হাতে দলের দায়িত্ব তুলে দিতে পারে।