আইপিএলে কতজন ক্রিকেটার ধরে রাখতে পারবে দলগুলি? নতুন দুই দলই বা ক্রিকেটারদের পাবে কীভাবে?
আগামী মরশুম থেকেই আইপিএলে থাকছে ১০টি দল। বর্তমান আটটি দলের সঙ্গে যোগ হয়েছে লখনউ ও আমেদাবাদ। খেলা হবে ২০১১ সালের মডেলে। ২৫ নভেম্বর নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি-সহ সব দলকে নিয়ে আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক হওয়ার কথা। যাতে থাকবেন বিসিসিআইয়ের শীর্ষকর্তারাও। তবে দলগুলি কতজন করে ক্রিকেটার ধরে রাখতে পারবে বা নতুন দল দুটি রিটেনশনের বিকল্প কী ব্যবস্থা করা হবে তা বোর্ডের তরফে সরকারিভাবে জানানো হয়নি। জানা গিয়েছে, পুরানো ৮টি দলের প্রত্যেকটি ধরে রাখতে পারবে সর্বাধিক চারজন ক্রিকেটার।

কীভাবে রাখা যাবে ক্রিকেটারদের?
যদিও এই সংক্রান্ত বিষয়ে বিসিসিআই, আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের কর্তারা ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে ঘরোয়া আলোচনা সেরে রেখেছে। মেগা নিলাম কবে হবে সেই দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে বিসিসিআই সূত্রে খবর, আটটি দল সর্বাধিক চারজন করে ক্রিকেটারকে ধরে রাখতে পারবে। যেহেতু নতুন দুই দলের হাতে সেই অপশন নেই, সেক্ষেত্রে নিলামের আগে তিনজন করে ক্রিকেটারকে আগে থেকে বেছে নিতে পারবে লখনউ ও আমেদাবাদের ফ্র্যাঞ্চাইজি। এ ক্ষেত্রে ২০১৬ সালে যেমন প্লেয়ার ড্রাফট পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছিল সেই পন্থা ফের ব্যবহার করা হতে পারে। সেবার রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টস ও গুজরাট লায়ন্স চেন্নাই সুপার কিংস ও রাজস্থান রয়্যালসের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিল। ২০১৩ সালে স্পট ফিক্সিংয়ের জেরে এই দুটি দল আইপিএল থেকে দুই বছরের জন্য নির্বাসিত হয়েছিল। সঞ্জীব গোয়েঙ্কার রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টস প্লেয়ার ড্রাফটে প্রথমে ক্রিকেটার বাছাইয়ের সুযোগ পেয়েই তুলে নিয়েছিল মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। এবারও গোয়েঙ্কার লখনউ সর্বাধিক বিড দিয়েছিল আইপিএলে দল কেনার সময়। ফলে লখনউই প্লেয়ার ড্রাফটে প্রথম পছন্দসই ক্রিকেটারকে ঘরে তুলে নিতে পারে।

কম্বিনেশন নিয়ে জল্পনা
আটটি দল যে চারজন ক্রিকেটারকে ধরে রাখতে পারে সেক্ষেত্রে কম্বিনেশন নিয়ে জল্পনা চলছে। জানা গিয়েছে, তিনজন ভারতীয় ও একজন বিদেশি কিংবা দুজন করে ভারতীয় ও বিদেশি রাখা যাবে। তবে ২০১৮ সালে সবচেয়ে বড় নিলাম যেটি হয়েছিল সেটির মতো এবারের নিলামে রাইট টু ম্যাচ কার্ড থাকবে না। যে তিনজন ভারতীয় সর্বাধিক ধরে রাখা যাবে তাঁরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হতে পারেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না খেলা ক্রিকেটার হতে পারেন বা মিলিয়ে-মিশিয়েও রাখা যেতে পারে। দলগুলি যে ক্রিকেটারদের ধরে রাখতে চাইবে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারের মতামত গুরুত্ব পাবে। ওই ক্রিকেটার যদি মনে করেন তিনি নিলামে আরও বেশি দর পেতে পারেন সেক্ষেত্রে ওই ক্রিকেটারের নাম নিলামের তালিকায় থাকবে।

ব্যয় কীভাবে?
আটটি দল যে ক্রিকেটারদের বাদ দেবে সেই ক্রিকেটারদের তালিকা থেকে, নাকি নিলামের সামগ্রিক তালিকা থেকে নতুন দল দুটি তিনজন করে ক্রিকেটার বেছে নেবে সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। একেকটি দলের ৯০ কোটি টাকার পার্স নিয়ে নিলামে যেতে পারে। মনে করা হচ্ছে নভেম্বরের মধ্যেই চূড়ান্ত করে ফেলতে হবে কোন দল কাকে রাখবে। যে ক্রিকেটারদের ধরে রাখা হবে তাঁদের পিছনে কত অর্থ ব্যয় করা হবে বা নিলাম থেকে ক্রিকেটারদের নিতে কত অর্থ ব্যয় করা যাবে সেটাও এখনও জানা যায়নি।

শেষ মেগা নিলামে
২০১৮ সালের নিলামে ৮০ কোটির মধ্যে ৩৩ কোটি টাকা রাখা হয়েছিল ক্রিকেটারদের ধরে রাখার জন্য ব্যয় করতে। রিটেনশন ও দুটি রাইট টু ম্যাচ কার্ডের মাধ্যমে সর্বাধিক ৫ ক্রিকেটারকে ধরে রাখার সংস্থান ছিল। নিলামের আগে ক্রিকেটারদের ধরে রাখতে প্রথম ক্রিকেটারের জন্য ১৫ কোটি, দ্বিতীয়জনের ক্ষেত্রে ১১ কোটি ও তৃতীয় ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে সাত কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। তবে কোনও ক্রিকেটারের দর এই ক্যাপের উপরে হলে সেক্ষেত্রে ছাড়ের ব্যবস্থা ছিল। যেমন বিরাট কোহলিকে ১৭ কোটি টাকা দিয়ে ধরে রেখেছিল আরসিবি। দুজন ক্রিকেটার ধরে রাখতে ক্যাপ ছিল ১২.৫ কোটি ও ৮.৫ কোটি টাকার। একজন ক্রিকেটার ধরে রাখতে ১২.৫ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। আনক্যাপড ক্রিকেটারদের ধরে রাখতে স্যালারি ক্যাপ ছিল ৩ কোটি টাকার।