বাংলাদেশের ঘটনায় আবারও অশান্ত ত্রিপুরা, দুষ্কৃতী হামলার পরে জারি ১৪৪ ধারা
বাংলাদেশে (Bangladesh) সেৎানকার সংখ্যালঘুদের ওপরে হামলার জের গিয়ে পড়েছে কুমিল্লার পাশেই ত্রিপুরায় (Tripura)। সেখানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়ি ও ধর্মস্থানে হামলার অভিযোগ উঠেছে বিশ্বহিন্দু পরিষদের (Vuswa Hindu Parishad) বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একটি মিছিল থেকে এই হামলা হয় বলে অভিযোগ। এরপরেই ত্রিপুরার ধর্মনগরে (Dharmanagar) ১৪৪ ধারা (section 144) জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

মঙ্গলবার হামলার ঘটনা
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকেলে উত্তর ত্রিপুরার চামতিলা এলাকায় বেশ কয়েকটি দোকান এবং ধর্মস্থানে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। এরপরেই এদিন সকাল থেকে ত্রিপুরা সরকার পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করেছে।

মোতায়ন করা হয়েছে আধাসামরিক বাহিনী
ধর্মনগর জুড়ে আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সঙ্গে রাখা হয়েছে রাজ্য পুলিশ এবং ত্রিপুরায় স্টেট রাইফেলসকেও। জেলা পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মঙ্গলবার রাতেই পুলিশের তরফে দুই সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলা হয়। দুই সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় সেখানের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। ত্রিপুরা পুলিশের তরফে ইতিমধ্যে্ই জানানো হয়েছে, ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পাশাপাশি এক আবেদনে বলা হয়েছে, কোন ভুয়ো বার্তায় যেন কেউ বিশ্বাস না করেন, পাশাপাশি শান্তির আবেদনও জানানো হয়েছে পুলিশের তরফ থেকে। প্রশাসনের তরফে সতর্ক করে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ালেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বামেদের তরফে ঘটনার নিন্দা
রাজ্যের সব থেকে বড় বামদল সিপিআইএম-এর তরফে ওই ঘটনার নিন্দা করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এক দল দুষ্কৃতী রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। সমাজের সব ধরনের মানুষের কাছে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানানো হয়েছে সিপিআইএম-এর তরফে। এছাড়াও যেসব দোকান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণেরও দাবি করা হয়েছে।
বিজেপির তরফে মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ওই ধরনের ঘটনায় পুলিশ পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।

আগেও হামলার অভিযোগ
তবে শুধু এই মঙ্গলবারের ঘটনাই নয়, গত সপ্তাহেও ত্রিপুরায় হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। ত্রিপুরায় জমিয়ত-উলেমা-ই হিন্দ সংগঠনের তরফে এই অভিযোগ করা হয়েছিল। তাদের তরফে বলা হয়েছিল ত্রিপুরার মুসলিমরা বাংলাদেশের ঘটনাকে সমর্থন করে না। তবে বাংলাদেশের ঘটনার পরে গোমতী জেলায় সংখ্যালঘুদের বাড়ি ও ধর্মস্থানে হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ওই সংগঠন।
