কলকাতায় সংক্রমণ বাড়াচ্ছে উদ্বেগ, রাজ্যকে চিঠি কেন্দ্রের! তিনদিনের কার্যত লকডাউন শহরের একপ্রান্তে
পুজোতে কোভিড বিধি না মেনে অবাধে ঘোরা ফেরা। আর তার ফল ভুগতে শুরু করেছে। ধীরে ধীরে ফের একবার বাড়তে চলেছে করোনা সংক্রমণ। পরিস্থিতি যা তাতে ইতিমধ্যে কেউ কেউ তৃতীয় ওয়েভের আশঙ্কাও করতে শুরু করেছে। যদিও সংক্রমণ ঠেকাতে ইতিমধ্যে একগুচ্ছ ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।
কনটেনমেন্ট জোন তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই মতো সংক্রমণ প্রবণ এলাকাগুলিকে ভাগ করা হচ্ছে। তবে যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকও।

উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক
কলকাতা সহ গোটা রাজ্যেই ক্রমশ বাড়তে চলেছে করোনা সংক্রমণ। প্রত্যেকদিনই হু হু করে বাড়তে চলেছে। আর এই অবস্থায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে চিকিৎসকদের কপালে। বিশেষ করে শুধু কলকাতাতে যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তা নিয়ে বিশেষ চিন্তার ভাঁজ পড়ছে কপালে। আর সেই উদ্বেগ থেকেই স্বাস্থ্য দফতরকে চিঠি পাঠাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কার্যত উদ্বেগ প্রকাশ করে নজিরবিহীন ভাবে এই চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ। একেবারে করোনা সংক্রমণের হিসাব দিয়ে রাজ্যকে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে।

হিসাব দিয়ে চিঠি
পুজোতে কড়া ভাবে কোভিড বিধি মানার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু কে কার কথা শোনে!! অবাধ ছাড়ে ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা ভাইরাস। বেলাগাম সংক্রমণ। চিঠি দিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক দাবি করছে, গত এক মাসে এই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজার ৯৩৬ ও ৩০ দিনে মৃত্যু হয়েছে ৩৪৩ জনের। শুধু তাই নয়, উৎসবের মরশুমে কীভাবে সংক্রমণ বেড়েছে সেই প্রমাণও তুলে ধরা হয়েছে ওই চিঠিতে। শুধু তাই নয়, কলকাতা উদ্বেগের অন্যতম কারণ। সেই বিষয়েও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। দ্রুত এই বিষয়ে স্বাস্থ্য দফতরকে ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ মন্ত্রকের।

কড়া হচ্ছে নাইট কার্ফু
সব জায়গাতে শুধু কনটেনমেন্ট ঘষনা করাই নয়। কড়া ভাবে নাইট কার্ফু মানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় পুলিশ প্রশাসনকে আরও কড়া হওয়ার নির্দেশ। সেই মতো রাত ১১টা বাজলেই শুরু হচ্ছে ধরপাকড়। অন্যদিকে, মাস্কহীন হকারকে কলকাতায় বসতে দেবে না পুলিশ। শহরের সমস্ত বাজারে মাস্ক ছাড়া ক্রেতা-বিক্রেতা, দুই তরফকেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করল পুরসভা। মাস্ক ছাড়া কাউকে দেখলেই আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ।

তিনদিন লকডাউন!
ভংকর গতিতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। আর সেদিকে তাকিয়ে আগামী তিনদিন কার্যত লকডাউন ঘোষণা করা হল রাজপুর-সোনারপুরে। আগামী বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার অর্থাৎ ২৮, ২৯ ও ৩০ অক্টোবর এই দুই এলাকার সমস্ত দোকানপাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র অত্যাবশকীয় পরিষেবাই পাবেন স্থানীয় মানুষ। এই সমস্ত এলাকাতে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় এই সিদ্ধান্ত। সংক্রমণ ঠেকাতে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনে আরও বেশি বিধিনিষেধ জারি করল পশ্চিম মেদিনীপুর প্রশাসনও।