অমিত শাহ জম্মু ও কাশ্মীর সফরে! পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা, নাকি অন্য পরিকল্পনা, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
জম্মু ও কাশ্মীর (jammu and kashmir) নিয়ে পাকিস্তানের (pakistan) সঙ্গে কোনও আলোচনা নয়। এমনটাই জানিয়েছেন সেখানে সফররত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (amit shah) । পরিবর্তে তিনি সেখানকার যুবকদের সঙ্গে জড়িত হতেই বেশি পছন্দ করবেন বলে জানিয়েছেন।

কথা বলবেন যুবকদের সঙ্গে
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যাশনাল কনফারেন্স সভাপতি তথা সাংসদ ফারুক আবদুল্লার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ফারুক সাহেব তাঁকে কাশ্মীরের ব্যাপারে পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এব্যাপারে তিনি (অমিত শাহ) বলেছেন, যদি তিনি কথা বলেন, তাহলে জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ এবং সেখানকার যুবকদের সঙ্গে কথা বলবেন। শ্রীনগরের শের-ই-কাশ্মীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে এইকথা বলেছেন। এই সফরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জম্মু ও কাশ্মীরের মূলধারার আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গেও কোনও কথা বলেননি।

যুবকদের সঙ্গে বন্ধুত্ব চান
কাশ্মীরের যুবকদের কাছে পৌঁছে যাওয়ার ব্যাপারে অমিত শাহ বলেছেন, তিনি খোলা মন নিয়েই এই সফরে এসেছেন। বুলেট প্রুফ বর্ম সরিয়ে তিনি বলেছেন তিনি নিজের হৃদয় থেকেই এইকথা বলছেন। বন্ধুত্বের জন্য তিনি যুবকদের দিকে হাত বাড়াচ্ছে। প্রসঙ্গত বলে রাখা ভাল এই বক্তব্য রাখার সময় অমিত শাহ জম্মু ও কাশ্মীরের প্রথাগত উলের পোশাক পরে ছিলেন।
অমিত শাহ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কথা উল্লেখ করে বলেছেন, কাশ্মীর প্রধানমন্ত্রী মোদীর হৃদয়ের খুব কাছের। সবসময়ই তিনি (মোদী) জম্মু ও কাশ্মীরের শান্তি ও উন্নয়নের কথা বলেন।
মানুষের ভালোবাসাতেই রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন, উপনির্বাচনের আবহে ফের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য লালুর

নিশানায় পরিবারের শাসন
২০১৯-এ জম্মু ও কাশ্মীর থেকে থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলে এবং মর্যাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার পরে প্রথমবার সেখানে গেলে অমিত শাহ। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জুনে জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক করলেও এব্যাপারে কোনও কথাই বলেননি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বরং তিনি ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং পিডিপির পরিবারের শাসনের কথা বলেছেন। কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, একদিকে যখন জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ দুর্দশার মধ্যে রয়েছে, সেই সময় সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী বছরের ছয়মাস লন্ডনে কাটিয়েছেন। এবার জম্মু ও কাশ্মীরে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, যিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে জেলায় কাটাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। সেখানকার দুটি পরিবার মিলে ৭৯ বছর শাসন করেছে। যুবকদের চাকরি দেওয়ার বদলে তাদেরকে বঞ্চিত করা হয়েছে। দুই পরিবারের শাসনে সেখানে ৪০ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অমিত শাহ। এবার কোনও সাধারণ মানুষকেই সেই পরিস্থিতির সামনে ফেলা হবে না, বলেছেন অমিত শাহ।

জম্মু ও কাশ্মীরে উন্নয়নের উল্লেখ
তিনি বলেছেন, জম্মু ও কাশ্মীরে এখন ৩০ হাজারের মতো পঞ্চায়েত সদস্য রয়েছে। মানুষের গ্যাসের সংযোগ রয়েছে। রয়েছে জলের সংযোগ। বিদ্যাতের সংযোগের পাশাপাশি স্বাস্থ্যের দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে। কেন ফারুক আবদুল্লা কিংবা মেহবুবা মুফতি ৭০ বছরে এই কাজ করেননি, প্রশ্ন করেছেন অমিত শাহ। তিনি বলেছেন, ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের সময় প্রচার করা হয়েছিল সেখানকার মানুষদের হাত থেকে জমি ছিনিয়ে নেওয়া হবে। কিন্তু এই ধরনের কোনও উদাহরণ দেখানো যাবে কি, যেখানে কোনো গ্রামবাসীর কাছ থেকে জমি ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে?