অপেক্ষা প্রায় শেষ, কোভ্যাক্সিনকে অনুমোদন দিতে চলেছে WHO, সুখবর শোনালেন আধিকারীর
দেশিয় প্রযু্ক্তিতে তৈরি হয়েছে করোনা টিকা কোভ্যাক্সিন। ১০০ কোটি করোনা টিকাকরণেপ মধ্যে অনেকেই এই কোভ্যাক্সিনের টিকা নিয়েছেন। প্রধানমমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সকলেই কোভ্যাক্সিনের টিকা নিয়েছেন। কিন্তু অবাক কথা হল এখনও হু অনুমোদন দেয়নি এই টিকার। যার কারণে বিদেশ সফরে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে একাধিক ভারতীয়কে। হু-র অনুমোদন না মেলায় অনেক দেশই কোভ্যাক্সিনকে করোনা টিকা হিসেবে দেখছেন না। কাজেই যাঁরা কোভ্যাক্সিনের টিকা নিয়েছেন তাঁদের ভিসা হচ্ছে না।

কোভ্যাক্সিনের অনুমোদনের জন্য অনেকদিন আগেই বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার কাছে আবেদন জানিয়েছে ভারত। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তার অনুমোদন মেলেনি। শোনা যাচ্ছে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নাকি হু-র অনুমোদন পেতে চলেছে কোভ্যাক্সিন। হু-র এক আধিকারীকই নাকি সেকথা জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কোভ্যাক্সিন নিয়েও আমেরিকা সফর করে এসেছেন। কোভ্যাক্সিন নেওয়ার পর কীভাবে তিনি আমেরিকা সফর করলেন এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। সাধারণ মানুষ যেখানে কোভ্যাক্সিন নেওয়ায় বিদেশে কাজে যেতে পারছেন না সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কীভাবে গেলেন তা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল হেলথ বডির মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস এক সংবাদিককে জানিয়েছেন, ভারতের তৈরি কোভ্যাক্সিনের অনুমোদনের জন্য টেকনিকাল টিম রিভিউ শুরু করেছে। কমিটি তাতে যথেষ্ট সন্তুষ্ট এবং ভারত যেভাবে করোনা টিকাকরণে নজির গড়েছে তাতে আরও খুশি বিশ্বস্বাস্থ্যসংস্থা। আন্তর্জাতিক স্তরে তার স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়া অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। গত শুক্রবার হু-র বিশেষজ্ঞ দল কোভ্যাক্সিনের যাবতিয় নথি খতিয়ে দেখেছেন। আন্তর্জাতিক স্তরে অনুমোদন দেওয়ার আগে তাই বিস্তারিত খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।
গত সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতের সব ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কীভাবে ভ্যাকসিন নিয়ে আরও গবেষণা প্রক্রিয়া চলছে তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই ভারত ১০০ কোটির টিকাকরণের মাইলস্টোনে পৌঁছে গিয়েছে। দেশে করোনা ভ্যাকসিন তৈরি জন্যই তা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।