লখিমপুরে সাংবাদিক হত্যার তদন্তের গতি প্রকৃতি কী? যোগী সরকারের কাছে জবাব তলব সুপ্রিম কোর্টের
লখিমপুরে সাংবাদিকের মৃত্যু নিয়ে উত্তর প্রদেশ সরকারের কাছে জবাব তলব করল শীর্ষ আদালত। তদন্তের গতিপ্রকৃতি কোন দিকে তা জানাতে বলা হয়েছে যোগী সরকারকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য লখিমপুরে কৃষকদের মৃত্যুর পাশাপাশি দুই সাংবাদিকেরও মৃত্যু হয়েছিল। সাংবাদিক রমন কশ্যাপ এবং শ্যাম সুন্দর দুই সাংবাদিক মারা হিয়েছিলেন সেদিন। সেই ঘটনায় তদন্তের যাবতীয় িরপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

লখিমপুর কাণ্ড নিয়ে ফের সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতিতের তীব্র ভর্ৎসনার মুখোমুখি হয়েছে যোগী সরকার। ২ অক্টোবর লখিমপুর খেরিতে যে ৮ জনকে পিষে হত্যা করা হয়েছিল তার মধ্যে ২ সাংবাদিকও ছিলেন। তাঁদের মৃত্যুর তদন্ত কোন দিকে এগোচ্ছে তা আদালত আজ যোগী সরকারের কাছে জানতে চায়। সেই তদন্তের যাবতীয় ফরেন্সিক রিপোর্ট এবং নথি অবিলম্বে শীর্ষ আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে।এমনকী ঘটনার ভিডিও ফুটেজও তলব করেছেন বিচারপতিরা। একই সঙ্গে প্রধান বিচারপতি এনভি রমন্নার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ যোগী সরকারকে লখিমপুর খেরির ঘটনার সাক্ষীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে।
লখিমপুর খেরির ঘটনায় দুই সাংবাদিকের হত্যা নিয়ে যোগী সরকার দুটি অভিযোগ দেখিয়েছে। একটিতে উল্লেখ করা হয়েছে গণপিটুনিতে এক সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু সেটি কোন পথে এগোচ্ছে তদন্ত তা সুনিশ্চিত করে জানানো হয়নি। প্রমাণ হিসেবে তাই ফরেন্সিক রিপোর্ট চেয়েছে শীর্ষ আদালত। এবং সত্যিই সেদিন গণপিটুনিতে সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছিল কিনা তা জানতে ভিডিও ফুটেজও চেয়েছে আদালত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এর আগে লখিমপুর খেরির মামলায় কেন অভিযুক্ত মন্ত্রী পুত্রকে গ্রেফতার করা হল না তা নিয়ে তীব্র ভর্ৎসনা করেছে শীর্ষ আদালত। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলে আশিস মিশ্র।
আশিস মিশ্রের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করলেও তাঁকে এখনও গ্রেফতার করেনি উত্তর প্রদেশ পুলিশ। শীর্ষ আদালতে এই নিয়ে ভর্ৎসনার মুখে পড়ার পর উত্তর প্রদেশ পুলিশ তৎপর হয়ে সমন পাঠায় মন্ত্রীপুত্রকে। তারই দু-চারদিন পরে আশিস মিশ্র লখনউয়ে উত্তর প্রদেশ পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের সামনে হাজিরা দেয়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করে ফেলেছে যোগী সরকার। একই সঙ্গে মৃতদের পরিবারকেও মোটা টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়েছ। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হবে বলে জানিয়েছিলেন যোগী। এদিকে এই ঘটনায় যেকয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তার মধ্যে আশিস মিশ্র ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তি রয়েছে। তাতেই মন্ত্রীপুত্রে হাত থাকার জোরাল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বারবার দাবি করেছেন ঘটনার দিন সেখানে ছিলেন না তাঁর ছেলে আশিস মিশ্র।