সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে তোপ! বিজেপি ভাইরাস মারতে দেশে ভ্যাকসিন মমতাই বললেন অভিষেক
আর মাত্র কয়েকটা ঘন্টা! শেষবেলার প্রচারে শান্তিপুরে রীতিমত ঝড় তুললেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৩০ অক্টোবর শান্তিপুর সহ চার কেন্দ্র উপনির্বাচন। একদিকে এই চার কেন্দ্র জিততে মরিয়া তৃণমূল শিবির আবার দুটি জেতা আসন ধরে রাখতে চায় বিজেপি।

কার্যত বিজেপি তৃণমূলের কাছে এই চার কেন্দ্রের উপনির্বাচন প্রেস্টিজিয়াস ফাইট। তবে এদিনের ঝোড়ো প্রচারে প্রথম থেকে শেষ বিজেপিকে কার্যত তুলোধোনা করলেন মমতা ভাইপো!
এদিন বক্তব্যের শুরুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক উন্নয়ন মূলক কর্মসূচীর কথা তুলে ধরেন অভিষেক। লক্ষ্মীর ভান্ডার সহ একাধিক প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন তিনি। আর তা বলতে গিয়েই বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ শানান তিনি। শুধু আক্রমণ নয়, রীতিমত উন্নয়নের প্রশ্নে স্থানীয় বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে তোপ দাগেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। বলেন, গত তিন বছরের বেশি সময় ধরে তিনি সাংসদ রয়েছেন। কিন্তু কটা উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন তিনি।
শুধু তাই নয়, সাংসদ হয়েও কতবার শান্তিপুরের নাম মুখে এনেছেন জগন্নাথবাবু? খোঁচা অভিষেকের। আর এই প্রসঙ্গে উন্নয়ন-কাজের ক্ষেত্রে কে এগিয়ে তা নিয়ে বিজেপিকে আরও একবার তাঁর সঙ্গে তর্কে বসার ডাক দেন ডায়মন্ডহারবারের এই সাংসদ।
বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে অভিষেক আরও বলেন, এই দলের লোকজন এমন যে ভোটের আগে বড়বড় কথা বলে আর ভোট মিটলেই চলে যায়। বাংলাতে এদের টিকি পর্যন্ত পাওয়া যায় না বলে কটাক্ষ তাঁর। এমনকি মিথ্যেবাদীর দল বলেও কটাক্ষ। আর এই বিষয়ে বলতে গিয়েই ভাইরাসের সঙ্গে বিজেপিকে তুলনা করেন অভিষেকের।
বলেন, কোভিডের চেয়েও বাজে ভাইরাস হল বিজেপি। তবে বিজেপির বিরুদ্ধে সারা দেশে একটাই ভ্যাকসিন কাজ করবে বলে দাবি অভিষেকের। আর সেই ভ্যাকসিনের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম ডোজটা ৩০ অক্টোবর, দ্বিতীয় ডোজটা দেবেন ২০২৪-এ।
এদিন প্রচারে গিয়ে অভিষেক দাবি করেন, এই অবস্থায় গোটা দেশের নজর রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের উপর। বিশেষ করে এই উপনির্বাচনের দিকে। আর সেই কারনে শান্তিপুরে মানুষকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনোনীত প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার দাবি জানান ভাইপো। তাঁর মতে, শান্তিপুরেভোট তৃণমূলকে (Trinamool Congress) দেওয়া মানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়া।
এমনকি বাংলাকে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রচারে গিয়ে এমনটাও দাবি করেন। তবে ব্রিজ সহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে কাজ না হওয়াতে ক্ষোভ রয়েছে শান্তিপুরের মানুষের। সেই আঁচ পেয়েছে গত বিধানসভা নির্বাচনে। এই কেন্দ্র একেবারে মুখ থুবড়ে পড়ে শাসকদল। আর সেদিকেই তাকিয়ে মঞ্চ থেকেই পড়ে থাকা কাজ দ্রুত শুরু করার প্রতিশ্রুতি দেন অভিষেক।