ঘুষ কাণ্ডের তদন্তের জন্য এবার সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে ভিজিল্যান্স তদন্ত এনসিবির
শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান মাদক কাণ্ড নিয়ে ক্রমেই তোলপাড় হয়ে উঠছে মুম্বই তথা হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিও। মুম্বইয়ের প্রমোদতরীর রেভ পার্টি থেকে আরিয়ানকে গ্রেফতার করার পেছনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে। ইতিমধ্যেই সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই মাদক কাণ্ডে এক সাক্ষী অভিযোগ তুলেছেন যে আরিয়ান খানকে মুক্তি দেবার জন্য আর এক সাক্ষীর থেকে ২৫ কোটি টাকা ঘুষ চেয়েছেন সমীর ওয়াংখেড়ে। এনসিবি এই অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য জোনাল ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে ভিজিলেন্স তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।

এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল জ্ঞানেশ্বর সিং এ প্রসঙ্গে বলেন, 'সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তের তদারকি করছি আমি।’ জ্ঞানেশ্বর সিংকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে সমীর ওয়াংখেড়ে কি তাঁর পদে থাকবেন? তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, 'এ বিষয়ে এখনই বলা ঠিক নয়। আমরা সবে তদন্ত শুরু করেছি।’ তদন্তকারী এজেন্সির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের যাবতীয় তথ্য সহ রিপোর্ট মুম্বই এনসিবির পক্ষ থেকে ডিরেক্টর–জেনারেলের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। সূত্রের মতে, ডিডিজি জ্ঞানেশ্বর সিং, যিনি এনসিবির মুখ্য ভিজিল্যান্স অফিসার, তিনি ওয়াংখেড়ের ওপর ওঠা এই অভিযোগের অভ্যন্তরীণ তদন্ত করবেন। মঙ্গলবারই সমীর ওয়াংখেড়ে পর্যালোচনা বৈঠকের জন্য দিল্লি পৌঁছাবেন।
মুম্বই মাদক কাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী প্রভাকর সইল সোমবার মুম্বই পুলিশ কমিশনারের অফিসে শীর্ষ নিরাপত্তা অফিসারদের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি দাবি করেছেন যে শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ানকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য এনসিবির কর্মকর্তা ২৫ কোটি টাকা ঘুষ চেয়েছেন। সইল তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়েই পুলিশ কমিশনারের অফিসে গিয়েছিলেন। সইল সোমবার সকাল ১১টা ২০ নাগাদ কমিশনারের দফতরে পৌঁছান এবং পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) মিলিন্দ ভরামভের সঙ্গে দেখা করেন। রবিবারই সইল সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের কাছে তাঁর জীবনহানি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন এবং তিনি দাবি করেন যে তাঁর ওপর হামলা হতে পারে।
গ্রেফতারির আশঙ্কা করছেন সমীর ওয়াংখেড়ে, আরিয়ান কাণ্ডের জেরে নিজের দফতরেই কোণঠাসা NCB অফিসার
পলাতক কেপি গোসাভির ঘনিষ্ঠ বলে নিজেকে পরিচিতি দেওয়া প্রভাকর সইলের বক্তব্য ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তাঁর অভিযোগ, একটি ফাঁকা পঞ্চনামায় তাঁকে সাক্ষর করতে বলা হয়। এরপর তিনি আরও বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে দাবি করেছেন, আরিয়ান কাণ্ডের নিষ্পত্তির জন্য ২৫ কোটির টাকার ডিলের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। এদিকে, এই দাবিকে সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে এনসিবি। প্রভাকর সইল নিজেকে কেপি গোসাভির বডিগার্ড রূপে পরিচিতি দিয়েছেন। এদিকে, তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে কার্যত আরিয়ান কাণ্ড ঘিরে বহু ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। যা নিয়ে তোলপাড় মুম্বই।